চিন্তা মুক্ত থাকতে করুন ধ্যান

 চিন্তা বা মানসিক চাপ সবার আছে। কিন্তু তাই বলে তো থেমে থাকলে হবে না। আমাদের নিজেদের কাজ ঠিক করে যেতে হবে। তবে অনেক সময় এমন হয় আমরা খুব ভেঙে পড়ি কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে না। এইসব কিছু থেকে মুভি অন করার জন্য প্রয়োজন ধ্যান করা।  এক মিনিট!  দেখবেন কত সমস্যা মন থেকে উধাও।

যখন রাতে ঘুমান, তখন সমস্ত ইন্দ্রিয় শিথিল হয় এবং এইভাবে আমরা পরের দিন আবার উৎসাহের সাথে কাজ করার জন্য প্রস্তুত হই। তবে শুধু ঘুম নয়, ইন্দ্রিয় শিথিল করার জন্যও ধ্যান একটি ভালো উপায়।  এর দ্বারা আমরা ইন্দ্রিয়গুলিকে শিথিল করি এবং নিজেদেরকে আরও উদ্যমী করতে পারি।

কিভাবে ধ্যান করবেন? এখানে দু-রকম পদ্ধতি বলা হয়েছে।

প্রথম পদ্ধতি :-

প্রথমে চোখ বন্ধ করে আরামদায়ক অবস্থায় বসুন।  শরীরের বাকি অংশ শিথিল করুন।  চুপচাপ বসে থাকুন এবং সমস্ত মনোযোগ  শ্বাসের উপর ফোকাস করুন এবং মানসিকভাবে নিজেকে মনে করিয়ে দিন যে শ্বাস নিচ্ছেন।

 তারপর যখন শ্বাস ছাড়ছেন, নিজেকে মনে করান যে শ্বাস ছাড়ছেন।  যদি আপনার মনে চিন্তা আসে, সেগুলি আসতে দিন।  তাদের থামাতে খুব কঠিন চেষ্টা করবেন না।  আপনি যদি তাদের থামান তবে তারা আরও শক্তিশালী হবে।  কয়েক মিনিটের জন্য পুনরাবৃত্তি করুন। ধীরে ধীরে দেখবেন এগুলো নিজে থেকেই চলে যাবে। 

নাক দিয়ে ৬-৭ বার গভীর শ্বাস নিন এবং  মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। একটি গভীর শিথিল অনুভূতি অনুভব না হওয়া পর্যন্ত এভাবে শ্বাস নিতে থাকুন।  এটি মনকে শান্ত করতে দেয়,  স্ট্রেস সৃষ্টিকারী সমস্ত জিনিস থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেয়।

দ্বিতীয় পদ্ধতি :-

 পিঠ সোজা করে নীরবে বসুন এবং শরীরকে শিথিল করার চেষ্টা করুন।  কয়েক মিনিটের জন্য সচেতনভাবে শ্বাস নিন এবং বের করুন।  ধীরে ধীরে ডান হাতের তালুতে সংবেদনগুলিতে মনোযোগ দিন।

  এখন ডান হাতের তালুতে সমস্ত ইতিবাচক আবেগ ধরে রাখার কল্পনা করুন, যেমন, সুখ, শান্তি এবং মমতা।  এখন ডান হাতের তালু নিন এবং হৃদয়ে রাখুন। হার্টবিট অনুভব করুন এবং  যখন ইতিবাচক আবেগের শক্তি অনুভব করেন তখন শরীর কীভাবে কম্পিত হয় তা অনুভব করুন।

 মুখে হাসি নিয়ে, কল্পনা করুন যে ইতিবাচক শক্তি পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী, দেশ এবং বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে ইতিবাচকতার সাথে।  কয়েক মিনিটের জন্য, হাসি দিয়ে শ্বাস নিন, হাসি দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। তারপর ধীরে ধীরে এই ধ্যান থেকে বেরিয়ে আসুন।

এতে আপনার মস্তিস্ক রিলিফ হবে। শরীরে সতেজ এবং চনমনে ভাব পাবেন। মনের ওপর এক ইতিবাচক প্রভাব পড়বে যা আপনাকে নতুন ভাবে কাজ করার উদ্দীপনা জোগাবে।