শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার ৫টি কারন
দ্রুতগতির জীবন এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়ার কারণে আজকাল পেটে মেদ দেখা যায়। আর পেটের মেদ খুব বিপজ্জনক রোগের জন্ম দেয়। এটি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস বা আরও বিপজ্জনক রোগের কারণ হতে পারে। বিপজ্জনক রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করে সুস্থ জীবনযাপন করতে চাইলে অবশ্যই পেটের মেদ কমাতে হবে।
পেটের মেদ যদি দিন দিন বাড়তে থাকে, তাহলে শীঘ্রই এখানে উল্লেখিত ৫টি বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন। এই বদ অভ্যাস খুব দ্রুত পেটের মেদ বাড়ায়। তাহলে চলুন এই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে জেনে নেই
পেটের চর্বি হওয়ার ৫টি কারণ:
সময়মতো খাবার খান : দেরিতে খেলে পরিপাকতন্ত্রকে খাবার হজম করতে অনেক চেষ্টা করতে হয়। যার ফলে শরীরে ক্যালরি জমতে শুরু করে। সময়মতো খাবার খেলে পেটের মেদ চলে যেতে পারে।
অন্যমনস্ক হয়ে খাবার খাওয়া : বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খাবার খাওয়ার সময় যদি ফোন বা টিভিতে আমাদের মনোযোগ রাখি, তাহলে আমরা খাবারে পরিমান না বুঝেই খেয়ে ফেলি।
খাওয়ার সময় যদি আমরা এই ধরনের বিষয়গুলিতে মনোযোগ না দিয়ে খাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করি তবে আমরা কম খাবার খাব। খাবার চিবিয়ে খান। এসব অভ্যাস বদলের কারণে আমাদের পেটের মেদ অনেকাংশে কমে যেতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন: প্রক্রিয়াজাত খাবার ফাইবার কেড়ে নেয় যা খাবারের গতি কমিয়ে দেয়। যার কারণে খাবার দ্রুত হজম হয়। খাবার দ্রুত হজম হওয়ার কারণে শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এসব কারণেও পেটের মেদ বাড়তে পারে।
খুব তাড়াতাড়ি খাবেন না: গবেষকদের মতে, আমাদের মস্তিষ্ক পাকস্থলীতে বার্তা পাঠাতে প্রায় ২০ মিনিট সময় নেয়। যদি খুব তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়া হয় তাহলে অনেক বেশি ক্যালোরি তৈরি হয়। সেই ক্যালোরিই হতে পারে স্থূলতার কারণ।
নিজেকে ফিট রাখতে চাইলে এবং পেটের মেদ কমাতে চান, তাহলে শীঘ্রই এমন বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন। ধীরে ধীরে খাওয়ার ফলে কম ক্যালোরি হয়। এই ধরনের অভ্যাস শরীরে অতিরিক্ত ওজন বাড়াতে দেয় না।
খুব বেশি ঘুমাবেন না: গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত ঘুমের কারণে বা ঠিকমতো ঘুম না হলে পেটে চর্বি জমতে শুরু করে। যদি পর্যাপ্ত ৮ ঘন্টা ঘুমন তবে সর্বদা পেটের চর্বিকে ভারসাম্য রাখতে পারেন।
শরীরচর্চা না করা - শরীরচর্চা না করার কারনে শরীরে মেদ জমে যায়। অর্থাৎ আমরা যা খাচ্ছি তার পুরো ক্যালরিটাই আমাদের শরীরে থেকে যাচ্ছে যে মেদ হিসেবে শরীরে জমা হচ্ছে।
No comments: