শিশুদের এই ৬টি ভুল চোখের ক্ষতি করে, জেনে নিন কীভাবে শিশুদের চোখের কোমল যত্ন নিতে হয়
যখন থেকে করোনা মহামারী আমাদের দেশে পা রেখেছে, তখন থেকে শুধু আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, শিশুদের লেখাপড়ায়ও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। করোনা থেকে বাঁচতে অনলাইন ক্লাসে উদ্বুদ্ধ করেছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে ঘরে বসেই অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পড়াশোনা শেষ করছে শিশুরা। কিন্তু বড় স্ক্রিনে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে বা মোবাইল ব্যবহারের কারণে শিশুদের দৃষ্টি দুর্বল হয়ে পড়ছে। তবে শিশুদের চোখের দুর্বলতার পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো থেকে রক্ষা করা অভিভাবকদের জন্য জরুরি। আজকের নিবন্ধটি এই বিষয়ে। আজ, এই নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা আপনাকে বলব যে বাবা-মা তাদের সন্তানদের চোখের যত্ন নিতে কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
1 - ব্যায়াম
শীতকালে, ব্যায়াম প্রায়শই শিশুদের রুটিন থেকে হারিয়ে যায় এবং শিশুরাও তাদের রুটিন থেকে শারীরিক কার্যকলাপকে সরিয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের উচিৎ তাদের সন্তানদের চোখের ব্যায়াম করতে উদ্বুদ্ধ করা। এবং তাদের বলুন যে চোখের ব্যায়াম করা শুধুমাত্র তাদের চোখকে শক্তিশালী করতে পারে না বরং তাদের দৃষ্টিশক্তিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
2 - চশমা
যদি আপনার সন্তানের চোখে চশমা থাকে বা তার দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়, তাহলে সন্তানদের নিয়মিত চশমা পরানো বাবা-মায়ের দায়িত্ব। চশমা না পরলে শিশুদের চোখে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এর পাশাপাশি তাদের চোখের সংখ্যাও বাড়তে পারে। এমতাবস্থায়, তারা যখনই পড়াশোনা সংক্রান্ত কোনো কাজ করবেন, তখনই শিশুকে চশমা পেতে হবে।
3 - ZOOM বিকল্পটি ব্যবহার করুন
বাচ্চারা যদি ট্যাবলেট বা মোবাইলে তাদের পড়াশোনার সাথে সম্পর্কিত কাজ করে, তাহলে তাদের মোবাইলের স্ক্রিন বড় করতে বলুন, অর্থাৎ জুম বিকল্পের সাহায্য সম্পর্কে বলুন কারণ খুব ছোট শব্দ শিশুদের চোখের জন্য ভাল নয়। এমতাবস্থায় তারা জুম করে পড়লে শিশুদের চোখের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমবে। এছাড়াও, তারা তাদের পড়াশোনায় আরও বেশি সময় দিতে সক্ষম হবে।
4 - স্ক্রীন টাইমিং সেট করুন
আজকাল শিশুদের অনেকক্ষণ মোবাইলে গেম খেলতে বা ইউটিউবে ভিডিও দেখতে দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে, কখন তাদের স্ক্রীন টাইম বাড়তে থাকে তা জানা যায় না এবং তারা ভুলে যায় যে এটি তাদের চোখের উপরও প্রভাব ফেলছে। এমতাবস্থায় অভিভাবকদের উচিৎ তাদের স্ক্রিন টাইমিং ঠিক করা, যদি তারা মোবাইলে ৬ ঘণ্টা সময় দেয়, তাহলে সেক্ষেত্রে অভিভাবকদের উচিৎ মাত্র ২ ঘণ্টা সেট করা এবং ওই ২ ঘণ্টার পর শিশুদের মোবাইল ব্যবহার করতে না দেওয়া।
5- পর্যায়ক্রমিক চোখের চেকআপও প্রয়োজন
শৈশব থেকেই যদি আপনার বাচ্চাদের চোখ দুর্বল থাকে বা তাদের চোখে চশমা থাকে, তাহলে অভিভাবকদের উচিৎ তাদের সন্তানদের যথাসময়ে পরীক্ষা করানো। এর মাধ্যমে শিশুরা শুধু চোখের গুরুতর সমস্যাই এড়াতে পারবে না, অনেক সমস্যা থেকেও তাদের চোখকে রক্ষা করতে পারবে।
6 - প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগ করুন
চোখের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই ইত্যাদি। এমতাবস্থায়, অভিভাবকদের উচিত শিশুদের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু যোগ করা, যাতে এই ভিটামিন থাকে। এগুলো সেবন করলে শুধু শিশুদের চোখই মজবুত হবে না, তারা অনেক সমস্যা থেকেও বাঁচতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ, তারা গাজর যোগ করতে পারেন যা শুধুমাত্র চোখকে শক্তিশালী করতে পারে না বরং অনেক সমস্যা থেকে চোখকে রক্ষা করতে পারে।
No comments: