অবশেষে দুই বছর বাদে খুলল প্রথম শ্রেণী থেকে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস
শিশুদের স্কুল খোলা নিয়ে নবান্ন থেকে ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। সোমবার রাজ্যে কোভিড বিধিনিষেধ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্ন। সেখানে বেশ কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের সমস্ত প্রাইমারি এবং আপার প্রাইমারি স্কুল খুলে যাবে। একই সঙ্গে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের সমস্ত আইসিডিএস সেন্টার-অঙ্গনওয়াড়ি। ফলে দুবছর পর ফের আবার শিশু পড়ুয়ারা স্কুল ক্লাসে বসে পড়াশোনার করবার সুযোগ পাবে।
বর্তমানে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল চালু হলেও বন্ধ ছিল প্রথম শ্রেণী থেকে সপ্তম শ্রেণীর ক্লাস। তবে স্কুল খোলার দাবিতে বারেবারে সোচ্চার হয়েছে ছাত্র-ছাত্রী থেকে অভিভাবকেরাও। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিও স্কুল খোলার দাবিতে আন্দোলনে পথ বেছে নিয়েছিল।
আজ সকাল থেকেই জগাছা চন্ডী বিদ্যাপীঠ সহ জেলার সর্বত্র প্রায় একই চিত্র দেখা গেল।এর আগে অষ্টম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস শুরু হলেও,অবশেষে সমস্ত কোভিড বিধিনিষেধ মেনে দুই বছর বাদে আজ থেকে চালু হয়েছে প্রথম শ্রেণী থেকে সপ্তম শ্রেণী অব্দি ক্লাস । তাই গতকালকেই সেরে ফেলা হয়েছে শ্রেণীকক্ষ থেকে শুরু করে টিচার্স রুম পর্যন্ত সমস্ত কক্ষে স্যানিটাইজেশনের কাজ।
কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ছোটদের স্কুল খোলার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। প্রথমে ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে স্কুল খোলার কথা বলেছিলেন তিনি। তবে এবার ১০০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়েই খুলে যাচ্ছে স্কুল। অন্যদিকে, রাজ্যের কোভিড বিধিনিষেধের মেয়াদ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অভিভাবকদের দাবি মেনে নিয়ে গতকাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৬ই নভেম্বর খোলা হলেও বছরের শুরুতেই অর্থাৎ ৩রা জানুয়ারি সমস্ত কিছু বন্ধ করতে হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের কোভিড টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়াদের টিকা দেওয়ার কথা শীঘ্রই চালু হবে জানানলেও এখনো তা চালু হয় নি। অতীতেও ১৫-১৮ বছরের পড়ুয়াদের টিকা ছাড়াই চালু হয়েছিল স্কুল। পরে অনেক পড়ুয়া সংক্রমিত হওয়ার দরুন স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়। এবারে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে কিনা সেটা সময়ই বলবে।
No comments: