মহিলাদের হৃদরোগের উপসর্গ
হৃদরোগের লক্ষণগুলি পুরুষদের মতো মহিলাদের মধ্যে স্পষ্টভাবে দেখা যায় না। পুরুষদের যদি হার্টের সমস্যা থাকে, তবে সাধারণ লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ফলে খুব তাড়াতাড়ি সঠিক চিকিৎসা ও যত্ন শুরু করা যেতে পারে। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে যখন এই সমস্যা দেখা দেয়, কোন উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায় না। যার জন্য রোগটি শনাক্ত হওয়ার পর তা এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করে যে প্রতি তিনজন নারীর একজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
কার্ডিও ভাস্কুলার ডিজিজ (সিভিডি) প্রতিরোধে মহিলাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। অনুপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার কারণে মহিলাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মহিলারা যে মানসিক চাপ অনুভব করেন তা প্রায়শই তাদের আশেপাশের লোকদের নজরে পড়ে না। এই কারণে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সিভিডির ঝুঁকি বেশি। মানসিক চাপের পাশাপাশি, খাদ্যের পরিমাণ এবং গুণমানের মতো অন্যান্য কারণগুলিও প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় যেসব মহিলার পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS), প্রিক্ল্যাম্পসিয়া, উচ্চ রক্তচাপ এবং সুগার থাকে, তাদের হার্ট সম্পর্কে সতর্ক হওয়া উচিত।
কি করবেন?
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য মহিলাদের অবশ্যই নিয়মিত চেক আপ করতে হবে। কোন সুস্পষ্ট উপসর্গ আছে কি না, ঝুঁকি মূল্যায়ন করার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি সঠিক সময়ে রোগটি শনাক্ত করা যায় তবে মহিলাদের মধ্যে সিভিডি আরও ভালভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন :-
হৃদরোগ সম্পর্কে জানা কঠিন বলে আপনার খাদ্য এবং জীবনধারা ঠিক রাখুন। মহিলাদের তাদের খাবারে এমন জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যা হার্টকে সুস্থ রাখে। যেমন ফল, শাকসবজি এবং ফাইবার বেশি করে খাওয়া উচিত। এগুলিকে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না এবং চাপ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।
সতর্কীকরণ :-
খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার কারণে মহিলাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মহিলারা যে মানসিক চাপ অনুভব করেন তা প্রায়শই তাদের আশেপাশের লোকদের নজরে পড়ে না। এই কারণে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সিভিডির ঝুঁকি বেশি। মানসিক চাপের পাশাপাশি, খাদ্যের পরিমাণ এবং গুণমানের মতো অন্যান্য কারণগুলিও প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় যেসব মহিলার পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS), প্রিক্ল্যাম্পসিয়া, উচ্চ রক্তচাপ এবং সুগার থাকে, তাদের হার্ট সম্পর্কে সতর্ক হওয়া উচিত।
No comments: