ব্লাড সুগারের এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে সাবধান হোন
ডায়াবেটিসকে বলা হয় নীরব ঘাতক। সুগার এমন একটি রোগ যা সময়মতো শনাক্ত করা না গেলে তা শুধু অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেরই ক্ষতি করে না, অকাল মৃত্যুও ঘটায়।
পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক বছরে এর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে যুবক এমনকি আঠেরো বছরের কম বয়সী শিশুরাও ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক রোগের শিকার হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই পরিবর্তিত হয়েছে যে শিশুরা জন্ম থেকেই সুগার নিয়ে জন্মাচ্ছে ।
সুগার যে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না তা নয়। যদি সঠিক সময়ে সুগার এর লক্ষণগুলি শনাক্ত করা যায় এবং চিকিৎসা করা হয় তাহলে এটি সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন প্রয়োজন।
আসুন জেনে নেই সুগারের লক্ষণগুলো -
শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করলে ক্লান্তি বাড়তে থাকে। রোগী বিরক্ত বোধ করতে শুরু করে। এ ছাড়া অনেকের ঘুমহীনতার সমস্যাও শুরু হয়।
শরীরে ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে যায়। দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ হল ছোট রক্তনালী ধ্বংস হয়ে যাওয়া। মনে রাখবেন সময়মতো চিকিৎসা না করলে অন্ধত্বও আসতে পারে।
শরীরে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে চুলকানিও হয়। এই চুলকানি যৌনাঙ্গে হয়।
রক্তে সুগারের পরিমাণের কারণে প্রস্রাবে ঈস্ট হতে পারে।
অবিরাম ক্ষুধাও ডায়াবেটিসের একটি লক্ষণ। যাদের রক্তে চিনি আছে, তাদের বারবার ক্ষিদে পায়। এর কারণ হল, সুগারের রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তপ্রবাহ থেকে গ্লুকোজ শরীরের কোষে পৌঁছাতে পারে না, যার কারণে এই সমস্যা হয়।
সুগার থাকলে রোগীকে ঘন ঘন প্রস্রাব করতে হয় কারণ শরীরে চিনির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় উভয় কিডনিই শরীরের বর্ধিত গ্লুকোজ বের করে দিতে কাজ করে।
বারবার প্রস্রাব করার ফলে শরীরে জলের পরিমাণও কমতে শুরু করে, ফলে রোগী বারবার পিপাসা অনুভব করেন।
সুগারের কারণে অনেকের ওজনও দ্রুত কমতে শুরু করে।
যদি এই ধরনের লক্ষণ পাওয়া যায়, তাহলে আপনার
অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
No comments: