স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাতে খান শীতের এইসব সবজি
ওজন কমানোর চেষ্টায় আমরা নানা কিছু করি, যেমন - জিম করা, কম করে খাওয়া, ব্যায়ম করা ইত্যাদি। এইসব করতে গিয়ে আমরা শারীরিক সুস্থতার ওপরে নজর দিতে ভুলে যাই। তাই সবার উচিত ওজন কমানোর সাথে সাথে স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা। তাই আজ আপনাদের জনাব স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমানোর উপায়।
শীতের মরসুমে অনেক সবজি পাওয়া যায়। এর মধ্যে এমন কিছু সবজি আছে যা ওজন কমাতে কার্যকর। তাই যদি আপনিও ওজন কমানোর কথা ভাবছেন, তাহলে অবশ্যই ডায়েটে এই সবজিগুলো রাখুন । এই সবুজ শাকসবজি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এগুলির সাহায্যে আমরা স্বাস্থ্যকর উপায়ে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সবজি সম্পর্কে যেগুলো আমাদের শরীরের উপকার করার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণও করতে পারে।
পালং শাক :
প্রতিদিন পালং শাক খেলে ত্বক, স্বাস্থ্য ও চুল মজবুত থাকে। শরীরে রক্তের অভাব থাকলেও খাদ্যতালিকায় পালং শাক অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। যা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেকাংশে সাহায্য করে। আপনি শাক-সবজি, মসুর ডাল এবং জুস বা স্যুপের মতো খাদ্যতালিকায় পালং শাক অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
লাউ:
লাউ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি ওজন কমানোর কথা ভাবছেন, তাহলে লাউ খাওয়া শুরু করুন। আপনি সবজি, রায়তা, জুস, মিষ্টির আকারেও লাউ খেতে পারেন। লাউ খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্যও ভালো। আপনি যদি সকালের খাবারে এটি খান, তবে এটি সারাদিনের জন্য শক্তি বৃদ্ধিকারী হিসাবে কাজ করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় লাউ অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন।
গাজর :
আপনি শীতকালে অবশ্যই গাজর খান, এটি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন গাজর খেলে আপনি ফিট থাকবেন। গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এছাড়া গাজর খাওয়া পরিপাকতন্ত্রের উন্নতিতে খুব উপকারী। আপনি বিভিন্ন উপায়ে গাজর খেতে পারেন। গাজরের সবজি, এর রস, গাজরের হালুয়া, খাবারে স্যালাড হিসেবে ব্যবহার করা ইত্যাদি।
মটরশুঁটি :
শীতের মরসুমে পাওয়া মটরশুঁটি শুধু সবজির স্বাদ বাড়াতেই কাজ করে না, ওজন কমাতেও সক্ষম। মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। এটি খেলে আমাদের পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে, খুব তাড়াতাড়ি ক্ষিদে পায় না। তাই মটরশুঁটি খাওয়া উচিত। ডাল ভাজি করেও খেতে পারেন। এটি খাওয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
No comments: