করিপাতা করবে আপনার হাজারও সমস্যার সমাধান!!

 খাবারের স্বাদ বাড়াতে আমরা করি পাতা ব্যবহার করি। কিন্তু স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও করি পাতা স্বাস্থ্য রক্ষাতেও কার্যকরী। কারি পাতার ভিতরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন সি প্রভৃতি পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যকে অনেক সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারে। চলুন আজকে এই বিষয়ে আলোকপাত করা যাক।  আজ আমরা জানাব কারি পাতা ব্যবহারে কী কী স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।  এছাড়াও আপনি কীভাবে এটি ব্যবহার করবেন তাও জানবেন ।

পোকামাকড়ের কামড়ে কারি পাতার ব্যবহার :

পোকামাকড় কামড়ালে জ্বালা, ব্যাথা থেকে উপশম পেতে করি পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য কারি পাতার মূল থেকে ছাল আলাদা করে নিন।  এখন এটি পিষে একটি পেস্ট তৈরি করুন।  এবার এটি আক্রান্ত স্থানে লাগান।  এটি করলে পোকামাকড়ের কামড়ের কারণে যে ব্যথা হয় তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং ফুলে যাওয়া থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

দাদ-হাজা-চুলকানি থেকে উপশম পেতে কারি পাতা :

 যাঁরা দাদ-হাজা-চুলকানির সমস্যায় ভুগছেন, কারি পাতা তাদের খুব কাজে আসতে পারে।  এক্ষেত্রে একটি পাত্রে কারি পাতার রস নিয়ে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে নিন।  এবার তৈরি করা পেস্টটি আক্রান্ত স্থানে লাগান।  এটি করলে শুধু চুলকানির সমস্যাই দূর হয় না, ছত্রাক ও দাদের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

 মুখ সংক্রান্ত সমস্যা দূর করুন :

অনেক সময় মুখে ভেতরে ঘ হয়। এমন অবস্থায় কারি পাতার একটি কাড়া তৈরি করে তা দিয়ে কুলি করুন।  এটি করলে শুধু মুখের ঘা-এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না, মাড়ির সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

 কারি পাতা মাথা ব্যথা উপশম করে :

 মাথাব্যথা দূর করতে কারি পাতা আপনার জন্য খুবই উপকারী। কারি পাতা পিষে তৈরি করুন একটি পেস্ট, সেই পেস্ট মাথায় লাগান।  এতে মাথা ব্যথা দূর হয়ে যায় ।

 চুল পড়া বন্ধ করে : 

 চুল পড়ার সমস্যা দূর করতে কারি পাতা আপনার জন্য খুবই উপকারী। জলের  সঙ্গে কারিপাতা পিষে তাতে বাটার মিল্ক মিশিয়ে ত্বকের চুলসহ গোড়ায় লাগান।  এতে চুল পড়ার সমস্যা দূর হয়।  এছাড়া যারা খুশকির সমস্যায় ভুগছেন তারাও এই পেস্ট দিয়ে খুশকির সমস্যা দূর করতে পারেন।  এ ছাড়া চুল পড়া রোধ করতে তিলের তেলে কারি পাতা ফুটিয়ে মালিশ করুন।  

 কারি পাতার ব্যবহারে শরীরের অনেক সমস্যা দূর করা যায়।  কিন্তু এর ব্যবহারের কারণে যদি কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে অবিলম্বে এটি খাওয়া বা লাগানো বন্ধ করুন । ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে এর ব্যবহারে সমস্যা বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শে কারি পাতা ব্যবহার করুন।