সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এইসব খাবার
সুস্বাস্থ্যই সবচেয়ে বড় সম্পদ তবে তা কেবল ওষুধ থেকে আসে না, খাবার থেকে আসে। এমন কিছু প্রাকৃতিক জিনিস আছে যা আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করোনা মানুষকে তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সতর্ক থাকতে শিখিয়েছে। মানুষ সুস্থ থাকার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এমন কিছু খাওয়ার ওপর জোর দিচ্ছে।
আসুন জেনে নিই এমন কিছু খাবারের কথা, যেগুলো ভিজিয়ে খাওয়া হলে স্বাস্থ্যের জন্য দ্বিগুণ উপকার পাওয়া যাবে এবং এতে আপনার স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হবে।
মেথি বীজ :
মেথি বীজ একটি গরম মসলা, যা খাবার স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। মেথির বীজ যদি খালি পেটে খাওয়া হয় তাহলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ফাইবার এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ মেথি বীজ আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। সুগারের রোগীদের জন্য খালি পেটে ভেজানো মেথি খাওয়া খুবই কার্যকর। এটি দাঁত ও হাড় মজবুত করে।
ভেজানো বাদাম :
বাদামে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ফাইবার যা হজমে সাহায্য করে। সকালে ভেজানো বাদাম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয় এবং অ্যাসিডিটি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। ভেজানো বাদাম স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখে। বাদাম প্রোটিনের খুব ভালো উৎস এবং প্রতিদিন এটি খেলে পেশী শক্তিশালী হয়।
শণের বীজ :
শণের বীজে প্রোটিন, আয়রন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এই বীজ ভিজিয়ে খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায় এবং হার্টের স্বাস্থ্যও বজায় থাকে। শরীরে প্রোটিন সরবরাহের জন্যও শণের বীজকে উপকারী বলে মনে করা হয়। ভেজানো শণের বীজ খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
কিশমিশ :
কিশমিশ ভিজিয়ে খেলে রক্তাল্পতা, কিডনিতে পাথর, ত্বকের সমস্যা এবং পেটের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। খেতে সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি কিশমিশ স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। এটি পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। কিশমিশে উপস্থিত পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি যা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না।
অঙ্কুরিত মুগ ডাল :
প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস হল অঙ্কুরিত মুগ ডাল যা সাধারণত জলখাবারে খাওয়া হয়। মুগ ডাল প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন বি সমৃদ্ধ। এটি খেলে হজমশক্তি ঠিক থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যাও দূর হয়।
No comments: