জ্যোতিষশাস্ত্র মতে তামা ব্যাবহারের উপকারিতা
প্রথমত তামা একটি খনিজ পদার্থ, তাই তামা ধারণ করলে আমাদের শরীরে খনিজের ঘাটতি অনেকটা পূরণ করে। তামা থেকে নির্গত হয় জিঙ্ক এবং আইরন, যা ঘামের সাথে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, আর অনেক রোগ ব্যাধির আশঙ্কা কমিয়ে দেয়, যেমন খিদে কমে যাওয়া, অল্পতেই ক্লান্তি, চুল পড়ে যাওয়া, রক্ত স্বল্পতা এবং বন্ধত্বের মতো রোগ ।
:- যদি তামার আংটি বাম হাতের অনামিকা অঙ্গুলিতে ধারণ করেন তাহলে শৌচ ক্রিয়ার সময় তা মলদ্বারে স্পর্শ হবে এবং এর ফলে জীবনে কখনো অর্শ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না ।
:- আর্থ্রাইটিস রোগেও তামার বালা বা আংটি আপনাকে অনেকটা সুফল দেবে ।
:- তামার মধ্যে থাকে আন্টি ইনফ্লেন্টারি উপাদান, যা মানব শরীরে যন্ত্রনা কমাতে ভীষণভাবে সাহায্য করে, তাই যদি আপনার কব্জিতে যন্ত্রনা থাকে তাহলে একটি তামার বালা ধারণ করলে অনেকটা উপশম হবে।বাতের সমস্যাতেও এই তামা রামবানের মতো কাজ করে।
:- রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে তামার বালা বা তামার আংটি ধারণ করতে পারেন, সুফল পাবেন ।
:- তামা ধাতুটি জীবাণু নষ্ট করে তাই তামা ধারণ করলে আপনার ধারে কাছে কোনো ক্ষতিকারক রোগ জীবাণু ঘেঁষবে না ।
:- জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে রবির প্রতিকারের জন্য তামা ধারণের বিধি রয়েছে । রবি জ্ঞান,ঐশর্য এবং প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করে তাই তামা ধারণ করলে এই সব দিকগুলিতেও আপনি উপকারিতা পাবেন ।
:- আধ্যাতিক দিক থেকে বিচার করলে সোনা রুপা তামা এই ধাতুগুলি খুবই শুদ্ধ ধাতু, তাই এইগুলি ধারণ করলে মন শান্ত থাকে এবং মানসিক শান্তি এবং জীবনে স্থিরতা লাভ করা যায় । এই কারণে স্বপ্ন দোষ নিবারণ বা অত্যধিক সুপ্তিস্থলনেও তামা সুফল প্রদান করে ।
:- তামার গ্লাস বা পাত্রে যদি জল রেখে সেই জল পান করেন, তাহলে পেট ঠান্ডা থাকে এবং পেটের অনেক রোগ দূর হয় ।
No comments: