স্টাডি রুমে এই ৪টি গাছ লাগালে বাচ্চাদের একাগ্রতা বাড়বে, পড়াশুনায় মন বসবে

 

প্রতিদিন ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতায় পড়ালেখায় যথাযথ মনোযোগ না দিলে অন্যদের থেকে পিছিয়ে থাকতে সময় লাগে না।  আর এ কারণে অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে চিন্তিত।  তবে শিশুদের পড়ালেখার জন্য চাপ দেওয়া উচিৎ নয়।  কিন্তু বাস্তু অনুসারে, কখনও কখনও স্টাডি রুমের দিক, সন্তানের পড়াশোনার দিক ইত্যাদিও এই সমস্ত কিছুর উপর নির্ভর করে।  অনেক সময় দেখা যায় শিশুরা পড়ালেখায় একাগ্রতা রাখতে পারছে না।  এমতাবস্থায় বাস্তু মতে এমন কিছু গাছের কথা বলা হয়েছে, যেগুলো লাগালে শিশুদের একাগ্রতা বাড়ে।

 

 বাস্তু অনুসারে, এই গাছগুলি ঘরে রাখলে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ে এবং বায়ুমণ্ডল ইতিবাচক থাকে।  এ কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে শুরু করে।  তো চলুন জেনে নিই কোন গাছগুলো, সেগুলোকে স্টাডি রুমে রাখলে আপনার পড়ালেখা ভালো লাগে।

 এই গাছগুলোকে স্টাডি রুমে রাখুন 

 জুঁই গাছ-

 বাস্তু অনুসারে, জুঁই গাছ ঘরের ভিতরে এবং বাড়ির বাইরে রাখা যেতে পারে।  জুঁই ফুলের মৃদু সুবাস মনে প্রশান্তি এনে দেয়।  তাই এটি স্টাডি রুমে রাখলে মানসিক চাপ কমে এবং মন শান্ত থাকে বলে বিশ্বাস করা হয়।  এতে শিশুরা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে সক্ষম হয়।

 অর্কিড উদ্ভিদ-

 অর্কিড গাছের ফুল দেখতে খুব আকর্ষণীয়।  সারা বছরই ফুল ফুটে থাকে।  বাস্তু মতে, এই উদ্ভিদ ইতিবাচক শক্তি বহন করে।  অর্কিড দেখলে মন খুশি হয়ে যায়।  অতএব, এই গাছটি স্টাডি রুমের কাছে বা কাছাকাছি রাখা ভাল বলে মনে করা হয়।

 বাঁশের চারা-

 ফেং শুই বাস্তুতে বাঁশকে শুভ বলে মনে করা হয়।  এই উদ্ভিদ থেকে ইতিবাচক শক্তি প্রবাহিত হয়।  কথিত আছে যে এই বাঁশ গাছটি স্টাডি রুমে রাখলে পড়াশোনায় মনযোগী হতে সাহায্য করে।  বলা হয়ে থাকে যে বাঁশ গাছের ছায়ায় সহজে বেড়ে ওঠে।

 পিস লিলি গাছ-

 পিস লিলি গাছের খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না, তাই এটি সহজেই বাড়ির ভিতরে রাখা যায়।  এই গাছ রোপণ করলে পরিবেশ পরিষ্কার থাকে, তাই স্টাডি রুমে লাগানো উপকারী বলে মনে করা হয়।