Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

শীতে এই ৫ ধরনের ডাল খান, এতে শরীর পাবে উষ্ণতা


শীতের ডালের উপকারিতা: শীতে শরীর গরম রাখতে আমরা বিভিন্ন জিনিস সেবন করি।  আদা, রসুন, গোলমরিচ, দারুচিনির মতো গরম জিনিস শীতের খাবারের অন্তর্ভুক্ত।  একই শীতে মানুষ ঠান্ডা জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকে।  আসলে ঠান্ডায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে।  এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা খুবই জরুরি।  শীতকালে গরম মশলার সঙ্গে ডাল খাওয়া খুবই জরুরি।  শীতের মৌসুমে গরম স্বাদে মসুর ডাল খেলে উপকার পাওয়া যায়।  এ জন্য শীতের খাবারে অড়হর, মসুর ডাল, কুলথির পাশাপাশি পাহাড়ি ডাল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। শীতকালে গরম ডাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পরের লেখাটি পড়ুন।


 1. মসুর ডালের উপকারিতা 


 শীতকালে মসুর ডাল খাওয়া খুবই উপকারী।  মসুর ডালের স্বাদ গরম, এটি শরীরে পরিপূর্ণ পুষ্টি যোগায়।  মসুর ডাল ক্যালরি, প্রোটিন, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ভিটামিন বি৬ এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ।  মসুর ডাল খেলে ডায়াবেটিস, স্থূলতা, ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।  এছাড়া ওজন কমাতেও মসুর ডাল উপকারী।


 মসুর ডাল ও মুগ ডাল মিশিয়ে খেতে পারেন।  এর ফলে শরীর ভালো পরিমাণে প্রোটিন পায়।  শরীরে কোলেস্টেরল কমায়।  এই দুটি ডাল খেলে শরীরে রক্তও বেড়ে যায়।


 


 2. কুলথি ডালের উপকারিতা


 শীতে শরীরে উষ্ণতা দিতে আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় কুলথি ডাল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।  পাহাড়ে কুলথি ডাল প্রচুর পরিমাণে খাওয়া হয়।  উত্তরাখণ্ডে এটি গাহত কি ডাল নামে পরিচিত।  শীতকালে গাহটের মসুর ডাল খাওয়া উপকারী।  কুলথি ডাল শরীরে উষ্ণতা দেয়।  এটি পাথরের চিকিৎসায় খুবই উপকারী।


 এনার্জি, পানি, প্রোটিন, মিনারেল, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট ও ফসফরাস পাওয়া যায় গাহাট ডালে।  এটি হাড়কে শক্তিশালী করে।  গাহট ডাল ডায়াবেটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ঠান্ডা এবং ফ্লু থেকে মুক্তি দেয়।  শীতকালে অনেকেই কুলথি ডাল খান।


 


 3. অড়হর ডালের উপকারিতা


 অড়হর ডাল প্রোটিনের খুব ভালো উৎস।  শীতকালে এর ডাল খাওয়া খুবই উপকারী, কারণ এর প্রভাব গরম।  পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, সোডিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান তুর ডালে পাওয়া যায়।  অড়হর ডাল তুর ডাল নামেও পরিচিত।  অড়হর ডাল কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।  এটি আপনাকে শক্তিমান রাখতেও সাহায্য করে।  অড়হর ডাল ভিটামিন বি-এর ঘাটতিও পূরণ করে।


 শীতকালে তুর ডাল খেলে শারীরিক বিকাশ ঘটে।  রক্তের অভাবও দূর করে।  এটি খেলে ওজন কমে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।  শীতকালে অলসতা, ক্লান্তি দূর করতে অবশ্যই তুর খান।


 


 4. রাজমার উপকারিতা


 রাজমা-ভাত কার না ভালো লাগে।  নাম শুনলেই সবার মুখে পানি চলে আসে।  সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি কিডনি বিন পুষ্টিগুণেও ভরপুর।  রাজমা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।  ক্যালোরি, পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, সোডিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি এর মতো পুষ্টি উপাদান কিডনি বিনে পাওয়া যায়।  কিডনি বিন খেলে আপনি পর্যাপ্ত প্রোটিন পান।  কিডনি বিনে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা আপনাকে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।  এছাড়া এটি হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।  রাজমা ডাল, স্যুপ ইত্যাদি আকারে খাওয়া যেতে পারে।


 

 5. পাহাড়ি ডাল ভট্ট খাওয়ার উপকারিতা


 পাহাড়ি ডাল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।  এতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।  ভাট খেলে স্বাস্থ্য উপকার হয়।  ভাট দুই প্রকার, একটি কালো ভাট এবং অন্যটি সাদা ভাট।  এই ডাল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।  লোহার প্যানে তৈরি করলে এর উপকারিতা আরও বেড়ে যায়।  ফসফরাস, আয়রন, খনিজ, ক্যালসিয়াম, চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো পুষ্টি উপাদান ভাটের ডালে পাওয়া যায়।  ভাটের ডাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হাড় মজবুত করে।  এ ছাড়া ভাটের ডাল খেলে লিভার সুস্থ থাকে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।  ভাটের ডাল স্মৃতিশক্তিও বাড়ায়।


 শীতের জন্য ডাল: শীতকালে মসুর ডাল, তুর, কুলথি ডাল, ভাত ও রাজমা খাওয়া খুবই উপকারী।  এই মসুর ডালের প্রভাব গরম, এগুলো খেলে শরীর গরম থাকে।  শীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

No comments: