Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

আপনি যদি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাতে চান তবে আপনার ডায়েটে এই ৩টি ভিটামিন অন্তর্ভুক্ত করুন


কে ওজন বাড়ানো পছন্দ করে? সবাই তাদের ওজন কমিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। এই সংগ্রামে আমরা অসাবধানতাবশত আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি করে ফেলি।  এটাও ঘটে কারণ আমরা সঠিক ভিটামিন বাছাই করতে পারি না।  যদি দেখা যায়, কম ক্যালোরির জন্য শরীরকে পরিশ্রম করতে হয়।  এছাড়াও, আমাদের এমন ডায়েট দরকার, যাতে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।  খাদ্যাভ্যাসও এমন হওয়া উচিৎ যাতে পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকে। এখন এই ভিটামিনগুলি কোনটি এবং কোন পুষ্টি উপাদানগুলি থাকা উচিৎ, আমাদের এই বিশেষ নিবন্ধটি সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দেবে।




 1. ভিটামিন ডি




 আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে ভিটামিন ডিও খুব ভালো।  এই ভিটামিন সানশাইন নামেও পরিচিত।  এক ঘণ্টাও রোদে থাকলে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ হয়।  যা হাড়ের জন্যও ভালো বলে মনে করা হয়।  এতে ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।




 2. ভিটামিন সি




 ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস।  প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বেরি, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, টমেটো, স্প্রাউটের মতো জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন।  গবেষণা অনুসারে, এটি স্থূলতা এবং মানসিক চাপ উভয়ই কমাতে সাহায্য করে।




 3. ভিটামিন বি




 স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাতে আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন বি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।  কারণ ভিটামিন বি শুধুমাত্র ক্রমবর্ধমান ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতাই রাখে না, হজমশক্তিও ঠিক রাখে।  নির্দিষ্ট ধরণের বি ভিটামিন যেমন থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, বায়োটিন, নিয়াসিন, ফোলেট এবং কোবালামিন এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড অবশ্যই খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।  এ জন্য প্রতিদিন বেশি করে সবুজ শাকসবজি, ডিম, মটরশুঁটি, রুটি, শস্যদানা খেতে হবে।  আপনি নিজেই এর প্রভাব দেখতে শুরু করবেন।


 


 কিভাবে একটি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাতে?


 ওজন কমানোর জন্য শরীরে চলমান বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।  যার জন্য কিছু পুষ্টি উপাদান আপনাকে সাহায্য করে।  তাদের সম্পর্কে জানা আপনার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।




 • প্রথম ক্যালসিয়াম - ক্যালসিয়াম হল হাড় সুস্থ রাখার প্রথম উপাদান।  এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।  গবেষণা অনুসারে, ক্যালসিয়ামের সাথে ভিটামিন ডি এর সাহায্যে এটি চর্বি কমাতে সাহায্য করতে পারে।




 • দ্বিতীয় ম্যাগনেসিয়াম - ম্যাগনেসিয়াম তৃতীয় ফ্যাক্টর, যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  এর ফলে রক্তে সুগারের মাত্রাও ঠিক থাকে।  আপনার জীবনযাত্রায় দুধ, ফল, বাদাম, মাছের মতো খনিজ পদার্থ অন্তর্ভুক্ত করুন।  এটি ওজন কমানোর একটি স্বাস্থ্যকর উপায়।  আপনার মেটাবলিজমও দ্রুত হবে।




 • তৃতীয় আয়রন- আয়রনের ঘাটতির কারণে স্থূলতার বেশিরভাগ সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।  গবেষণা অনুসারে, এটি রক্তাল্পতার কারণ হতে পারে।  ওজন কমাতে আয়রনের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন।  আপনার খাদ্যতালিকায় খেজুর, কিসমিস, সবুজ শাকসবজি, মাংস অন্তর্ভুক্ত করুন।


 


 সতর্কতা প্রয়োজন


 ওজন কমানোর দৌড়ে এতটা জড়িয়ে পড়বেন না যে আপনি ভুলে যাবেন যে আপনার শরীর কী চলছে।  এর মধ্যে আপনাকেও সতর্ক থাকতে হবে।  সেটা কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক।


 • আপনি যদি কোনো সাপ্লিমেন্ট খাওয়া শুরু করেন, তাহলে তার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


 • আপনার অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী সম্পূরকগুলি এড়ানো উচিৎ।


 • আপনার খাদ্য সুষম রাখুন।


 • প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা ব্যায়াম করুন।


 • জাঙ্ক ফুড থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।


 • প্রতিদিন বেশি করে জল পান করুন।


 • মানসিক চাপ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।


 • অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।


 ওজন কমানোর জন্য ভিটামিনের পাশাপাশি খনিজও গুরুত্বপূর্ণ।  যা স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরের মেটাবলিজমও বাড়ায়।  আপনার খাদ্যতালিকায় যতটা সম্ভব ভিটামিন অন্তর্ভুক্ত করুন।  যাতে আপনার ওজন কমানোর উপায় স্বাস্থ্যকর এবং সহজ হয়।  এত কিছুর পরও যদি ওজন না কমে তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

No comments: