Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

জেনে নিন কখন কিডনি ডায়ালাইসিস করতে হয় এবং এর প্রক্রিয়া কী


কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।  এটি আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য এবং টক্সিন দূর করে।  কিডনির কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীর ও রক্তে ময়লা জমতে শুরু করে।  রক্তে জমে থাকা এই ময়লা অপসারণের জন্য যে প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয় তাকে ডায়ালাইসিস বলে।  কিডনি শরীরে জল ও খনিজ পদার্থ যেমন সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস ও ক্লোরাইড ইত্যাদির সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কোনো রোগ বা সমস্যার কারণে কিডনি যখন তার কাজ করতে সক্ষম হয় না, তখন শরীরে ইউরিয়া এবং ক্রিয়েটিনিনের মতো বর্জ্য পদার্থ জমতে শুরু করে, যার কারণে শুধু কিডনিই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  আসুন আমরা আপনাকে বলি ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়া কী এবং কখন এটি প্রয়োজন।


 ডায়ালাইসিস কি


 ডায়ালাইসিস হল রক্ত ​​বিশুদ্ধকরণ অর্থাৎ রক্ত ​​ডিটক্সিফাই করার একটি প্রক্রিয়া।  কিডনি আমাদের শরীরে উপস্থিত ময়লা দূর করে।  শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে এবং শরীরে প্রয়োজনীয় পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখতে কিডনি সারা জীবন কাজ করে।  এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের কারণে প্রকৃতি কিডনিকে এমনভাবে তৈরি করেছে যে কিছু ছোটখাটো ত্রুটির পরেও এটি তার কাজ চালিয়ে যেতে পারে এবং মানুষের খুব বেশি সমস্যা হয় না।  কিন্তু যখন এই কিডনি ৭০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্যার লক্ষণ দেখা দিতে থাকে এবং এই কিডনি ৮০-৯০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস করতে হয়।


 প্রস্রাব আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।  কিডনির কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে কম পরিমাণে প্রস্রাব উৎপন্ন হয়, যার ফলে সমস্ত বর্জ্য পদার্থ শরীরে জমতে শুরু করে।  এর কারণে ক্লান্তি, ফোলাভাব, বমি, বমি বমি ভাব এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।  কিডনি ডায়ালাইসিসকে বলা হয় হেমোডায়ালাইসিস।  মানুষের শরীরে দুটি কিডনি আছে।  একটি কিডনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হলেই সাধারণত হেমোডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়।


 ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়া


 যে কোনো কিডনি রোগ বা কোনো রোগ যা কিডনিকে প্রভাবিত করতে পারে, দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা না করলে শরীরে মারাত্মক সমস্যা শুরু হয় এবং কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।  রোগীর দুটি কিডনিই ব্যর্থ হলে তিনি বাঁচতে পারবেন না, তাই কিডনি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ার আগে ডায়ালাইসিস করতে হয়। যদি রোগীর তীব্র কিডনি ব্যর্থ হয়, তবে ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়াটি অল্প সময়ের জন্য করা হয়।  এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত কিডনি সুস্থ হওয়ার পরে বা একটি নতুন কিডনি রোপনের পরে বন্ধ হয়ে যায়।  কিন্তু যদি রোগীর ক্রনিক কিডনি ফেইলিউর থাকে এবং কিডনি প্রতিস্থাপন করার মতো অবস্থায় না থাকে, তাহলে ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় ধরে চলে।


 যখন এটি প্রয়োজন হয়


 গুরুতর কিডনি রোগে অর্থাৎ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে, যখন কিডনি শরীরে উপস্থিত বর্জ্য পদার্থ ক্রিয়েটিনের 15 শতাংশ বা তার কম অপসারণ করতে সক্ষম হয়, তখন ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়।  অনেক সময় কিডনির সমস্যার কারণে শরীরে পানি জমতে শুরু করে অর্থাৎ তরল অতিরিক্ত ভার হতে শুরু করে, তারপরও রোগীর ডায়ালাইসিস করতে হয়।  শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলেও ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয় কারণ পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়লে গুরুতর হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।  একইভাবে শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলেও ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়।

 


 হেমোডায়ালাইসিস কি


 হেমোডায়ালাইসিস একটি প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন ধাপে সঞ্চালিত হয়।  এতে একটি মেশিনের মাধ্যমে শরীর থেকে একবারে 250 থেকে 300 মিলি রক্ত ​​বের করে বিশুদ্ধ করে শরীরে ফেরত দেওয়া হয়।  এই প্রক্রিয়ায় ডায়ালাইজার নামে একটি চালুনি ব্যবহার করা হয়।

No comments: