ওজন কমানোর আগে জেনে নিন বিজ্ঞান কি বলছে

বর্তমান সময়ে, বেশিরভাগ মানুষই তাদের ক্রমবর্ধমান ওজনের কারণে সমস্যায় পড়েন এবং ওজন কমাতে উঠেপড়ে লেগে পড়েন।  অতিরিক্ত ব্যায়াম থেকে শুরু করে কঠোর ডায়েটিং পর্যন্ত নিয়ম মেনে করে চলেন তারা।  এতে তাদের ওজন কমেও যায়। কিন্তু যখন তারা আবার তাদের পুরনো জীবনযাত্রায় ফিরে আসে, তখন তাদের ওজন আবার দ্রুত বাড়তে থাকে। তাই তাদের দুশ্চিন্তা হওয়াটাই স্বাভাবিক।  

যদি আপনার সাথেও তেমন কিছু ঘটে থাকে তবে অন্ধভাবে কিছু অনুসরণ করার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওজন কমানোর পিছনের বিজ্ঞানটি বোঝা।  যখন আপনি আপনার শরীরকে  বুঝতে পারবেন, তখন আপনাকে এই সমস্যা নিয়ে জোর করে কিছু করতে হবে না এবং আপনার ওজনও খুব সহজে কমে যাবে।

 মেটাবলিজমকে বুস্ট আপ করতে হবে:

 আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান, তাহলে প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আপনার মেটাবলিক রেট।  যদি আপনার মেটাবলিজম ভাল কাজ করে, তাহলে আপনি যে খাবার খাচ্ছেন, তা দ্রুত ভেঙ্গে যাবে এবং শক্তিতে রূপান্তরিত হবে।  একইভাবে, ধীর বিপাকের কারণে, খাদ্য শক্তিতে রূপান্তর হতে সক্ষম হয় না এবং তারপরে এটি চর্বি হিসাবে শরীরে জমা হতে শুরু করে।  অতএব, মেটাবলিজম বাড়ানোর জন্য, নিজেকে শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখুন এবং বিশেষ করে আপনার খাবার ও পানীয়ের দিকে মনোনিবেশ করুন।  মনে রাখবেন আপনাকে ক্ষুধার্ত থাকতে হবে না, তবে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

 প্রোটিন এবং ফাইবার:

 সাধারণত দেখা যায় যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছে,তারা  খাবার ও পানীয় কমিয়ে দেয় বা দীর্ঘ সময় শরীরকে ক্ষুধার্ত রাখে।  কিন্তু আপনাকে সেটাও করতে হবে না। শুধু সঠিক সময়ে এবং সঠিক উপায়ে খেতে হবে।  ওজন কমাতে হলে খাবারে প্রোটিন ও ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে।  এগুলি   আপনাকে এনার্জি দেবে  এবং সাথে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

 ডায়েট অনুসরণ করবেন না:

 এটাও একটা ভুল, যা মানুষ প্রায়ই করে থাকে। আসলে, যখন কেউ ওজন হ্রাস করে, তখন সে অন্ধভাবে একটি ডায়েট অনুসরণ করে। যদিও এটি করা উচিত নয়।  প্রথমত, আপনার কোন ধারণা নেই যে কীভাবে সেই ডায়েট আপনার জন্য কাজ করবে।  এছাড়াও, আপনি যখনই ডায়েট ত্যাগ করবেন, আপনার ওজন আবার বাউন্স হবে। তাই যেকোনো ডায়েট অনুসরণ না করে আপনার নিয়মিত ডায়েট পরিবর্তন করা উচিত। 

 উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি রুটি খান, তবে ময়দা মাখার সময়, গমের আটার সাথে সামান্য ছোলার আটা বা বেসন যোগ করুন।  এতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না কিন্তু আপনার খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যাবে।  একইভাবে, আপনি যদি মসুর ডাল বা পনির না খান, তবে আপনাকে অবশ্যই খাবারের সাথে দুই বাটি দই নিতে হবে।