প্রসবের সময় এই মহিলার সঙ্গে যা ঘটেছিল জানলে হাড় হিম হয়ে যাবে

 

এখন ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জন মহিলার অপারেশন করে প্রসব করা হয়। এর কারণ তারা এতটাই ভয় পায় যে তারা ভাবে স্বাভাবিক প্রসব একটি বিপদ হতে পারে। অন্য কেউ নয় কিন্তু ডাক্তাররা নিজেরাই এটি করেন এবং এটি কারও থেকে গোপন নয় যে অপারেশন করার জন্য কত টাকা নেওয়া হয়। এই টাকার লোভে প্রায়শই ডাক্তাররা অপারেশন করে প্রসব করান এবং কখনও কখনও এর ক্ষতি হয় সরাসরি সেই মহিলার কাছে যিনি মায়ের সুখ পেতে যাচ্ছেন। সর্বশেষ ঘটনাটি বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার। এখানে একজন মহিলা ডাক্তার গর্ভবতী মহিলার প্রসবের সময় এত বড় ভুল করেছিলেন যা  শুনে সবাই অবাক।

 এই হৃদয় বিদারক ঘটনায়,দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে একজন মহিলা ডাক্তার জন্মের সময় ভুল করে একটি শিশুর শিরচ্ছেদ করেছিলেন।  শিশুর শরীরের বাকি অংশ মাতৃগর্ভে এবং এর মাথা ছিল ডাক্তারের হাতে।  অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মহিলার গর্ভ থেকে শিশুর দেহ বের করা হয়।

 জানা যায় আব্দুল নাসির নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন যে তিনি বুধবার তার স্ত্রীকে ডক্টর আলিয়া নাজ তারানের প্রাইভেট ক্লিনিকে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন।  ডাক্তার প্রসবের জন্য অপারেশন করার কথা বলেন এবং তার কাছ থেকে দশ হাজার টাকা দাবি করেন।  আবদুল নাসির বলেন, ডাক্তার নবজাতকের মাথা বিচ্ছিন্ন করেছেন এবং দেহ গর্ভেই রয়ে গেছিল।

 নাসির জানালেন, শিশুর মৃতদেহ মাতৃগর্ভে ফেলে রাখা হয়েছে।  এর পরে ডাক্তার তাকে বললেন তার স্ত্রীকে সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যেতে।  তিনি যখন সরকারি হাসপাতালে পৌঁছান, তখন অপারেশনের মাধ্যমে মায়ের গর্ভ থেকে শিশুটির দেহ বের করা হয়।  তথ্য অনুযায়ী, বেলুচিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী আলাউদ্দিন মারি ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।