দারুচিনির উপকারিতা!

দারুচিনি একটি খুব সাধারণ মশলা, যা প্রতিটি ভারতীয় বাড়িতে পাওয়া যায়। এটি সারা বিশ্বে খাবারে ব্যবহৃত হয়। ঠান্ডার ক্ষেত্রে দারুচিনি ডিকোশন পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর সুস্বাদু বৈশিষ্ট্য ছাড়াও দারুচিনি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী, কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে দারুচিনি খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে।  দারুচিনির বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে কিছু কথা ।

1) গবেষণার মতে, অতিরিক্ত পরিমাণে দারুচিনি খাওয়া আপনার লিভারের স্থায়ীভাবে ক্ষতি করতে পারে। দারুচিনিতে রয়েছে কুমারিন নামক উপাদান, যা আপনার লিভারের জন্য খারাপ। 

2) প্রতিদিন ২ চা চামচ দারুচিনি আপনার লিভারের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এটি অঙ্গটির অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করতে পারে, যা কখনও কখনও জীবন-হুমকি হতে পারে। একই সময়ে, এটি পরামর্শ দেওয়া হয় যে সুস্থ থাকার জন্য, এক চা চামচ দারুচিনি বেশি খাওয়া উচিত নয়। 

3) দারুচিনিতে কুমারিন থাকে, তাই যদি দারুচিনি দৈনিক গ্রহণের অতিরিক্ত হয় তবে এটি কিছু অংশে ক্যান্সারযুক্ত টিউমার হওয়ার ঝুঁকিও সৃষ্টি করতে পারে।দারুচিনির এই কার্সিনোজেনিক প্রভাবটি এই কারণে যে এটি সময়ের সাথে সাথে ডিএনএ অবনতি ঘটায়, যা শেষ পর্যন্ত শরীরে নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সারের বিকাশের দিকে পরিচালিত করে। এজন্য আপনি প্রতিদিন কতটা দারুচিনি খাচ্ছেন সেদিকে নজর রাখা বাঞ্ছনীয়।

4) দারুচিনি দুটি জিনিস দিয়ে তৈরি। যার একটি আমরা ইতিমধ্যে আপনাকে বলেছি যেমন কুমারিন এবং অন্যটি একটি রাসায়নিক যৌগ, যা সিনামালডিহাইড নামে পরিচিত। সিনামালডিহাইড আপনার শরীরের তরল পদার্থের সাথে কাজ করে যত তাড়াতাড়ি এটি আপনার শরীরে প্রবেশ করে, যেমন যখন এটি আপনার মুখের সংস্পর্শে আসে। অতিরিক্ত খাওয়া হলে মুখে অ্যালার্জি হতে পারে। এটি মুখে জ্বালাপোড়া, ঘা এবং মাড়ি এবং জিহ্বার চারপাশে ফোলা হতে পারে। যাইহোক, এটি তখনই ঘটে যখন আপনি প্রচুর পরিমাণে দারুচিনি সেবন করেন। 

5) দারুচিনি টাইপ -২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের চিনির মাত্রা কমাতে একটি নিশ্চিত প্রতিকার হিসেবে বিবেচিত হয়। যাইহোক, অতিরিক্ত খাওয়া আপনার রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে।