Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

এই মন্দিরে গেলেই মিলবে পাপ মুক্তির সার্টিফিকেট

 


জীবনে চলার পথে নানা ধরণের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। এমনও হয় না চাইলেও কিছু কিছু সময় এমন কাজ আমাদের করতে হয়, যার জন্য পরবর্তীতে আমরা অনুশোচনা করি। মনে হয় পাপ কাজ হয়ে গিয়েছে আমাদের দ্বারা। আর পাপ দূর করার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, পুজো অর্চনা করি। কিন্তু আপনি কি জানেন, আমাদের দেশেই এমন একটি মন্দির রয়েছে, যেখানে গেলে পাওয়া যাবে পাপ মুক্তির সার্টিফিকেট। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই! কিন্তু অবাক হলেও এটাই সত্যি। রাজস্থানে রয়েছে মহাদেবের এক মন্দির, যেখানে গেলে মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে পেয়ে যাবেন পাপ মুক্তির সার্টিফিকেট।



বাঁশওয়ারা থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে প্রতাপগড় জেলার অর্ণোদ তহসিলের গৌতমেশ্বর মহাদেব মন্দির ভগড়ের হরিদ্বার নামে পরিচিত। এটি ভগবান শিবের একটি বিখ্যাত মন্দির। ভগবান শিবের এই মন্দিরের উপর থেকে ঝর্ণা প্রবাহিত হয়। বর্ষার সময় গৌতমেশ্বর মহাদেব মন্দিরের চারদিকে তাকালে মনে হয়, কেউ যেন সবুজের চাদর বিছিয়ে দিয়েছে।



গৌতমেশ্বর মহাদেব মন্দিরের আলাদাই বৈশিষ্ট্য আছে। এটি একটি মোক্ষদায়িনী কুন্ড, যা মন্দাকানি কুন্ড নামেও পরিচিত। মান্যতা এই কুন্ডে স্নান করলে সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়। এখানে মন্দিরের ট্রাস্ট কর্তৃক পাপ মুক্তির শংসাপত্রও দেওয়া হয়।



কথিত আছে যে, সপ্ত ঋষির একজন গৌতম ঋষির ওপরেও একবার গরু হত্যার কলঙ্ক লেগছিল। তখন ঋষি গৌতম এই কুন্ডে স্নান করে তাঁর সমস্ত পাপ মুছে ফেলছছিলেন। তখন থেকে স্থানীয় মানুষ বিশ্বাস করেন যে, ঋষি গৌতম যেমন এই মন্দাকিনী কুন্ডে স্নান করে পাপ মুক্ত হয়েছিলেন, তেমনই তাদেরও সমস্ত পাপ ধুয়ে যাবে।



এখানকার বাসিন্দাদের আজও গৌতমেশ্বর মহাদেবের মন্দিরে নির্মিত এই কুন্ডের প্রতি আস্থা রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গৌতমেশ্বর মহাদেব মন্দিরে নির্মিত এই কুন্ডের জল আজ পর্যন্ত কখনও শেষ হয়নি বা শুকিয়ে যায়নি। এই ধর্মীয় স্থানে আদিবাসীদের তৈরিএকটি পুরনো আদালতও রয়েছে। আদালত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুদ্রিত এবং মুদ্রাঙ্কিত পাপ মুক্তির সার্টিফিকেটও জারি করা হয়। বিশেষ বিষয় হল গোটা দেশে এটিই একমাত্র ধাম, যেখানে পাপ মুক্তির সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। 



আদিবাসীদের হরিদ্বার নামে পরিচিত গৌতমেশ্বর মহাদেব মন্দির পরিদর্শনে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র থেকে অনেক ভক্তরা আসেন বৈশাখ মাসে। সেই সময়, এই রাজ্যগুলির লক্ষ লক্ষ ভক্তগণ এই বিশ্বাসের দরবারে নির্মিত কুন্ডে ডুব দিয়ে তাদের পাপ ধুয়ে যান এবং এই কুন্ডের জল গঙ্গার জল হিসাবে মনে করে তাদের সঙ্গে করেও নিয়ে যান।




গৌতমেশ্বর মন্দিরে পাপ মোচনের জন্য মন্দাকানি নামক কুন্ডে ভক্তরা স্নান করার পর এক টাকা জমা দেয় এবং আদালত তাদের পাপ মুক্তির শংসাপত্র দেয়।

No comments: