Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

ভাপা চিংড়ির স্বাদে মন জয় করুন অতিথির, বানানোর সহজ কৌশল জেনে নিন

 







ভাপা রান্নায় বাঙালির হাতযশ নতুন নয়। কলাপাতায় মোড়া ভাপা ইলিশ থেকে নিরামিষে ভাপা ছানার তরকারি, বাঙালির পাতে দু’জনেরই সমান কদর। ভাপা রান্নার জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই কলকাতার বিভিন্ন বাঙালি খাবারের রেস্তরাঁ ভাপানো পদ তাদের মেনুতে রাখে।


তবে ভাপা বলতেই ভাপা ইলিশ বা ভেটকির কথা মাথায় এলেও চিংড়ি মাছও এই ধরনের রান্নার অন্যতম সেরা উপকরণ। নারকেল চিংড়ি বা দুধ-মালাইকারির বদলে বাড়িতে সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন ভাপা চিংড়ি।




তবে এই পদ বানানোর সময় চিংড়ির আকার নিয়ে আপস নয়। মাঝারি আকারের গলদাতেই এই পদ ভাল জমে। তবে গলদার জোগান না থাকলে বড় আকারের বাগদাও কিনতে পারেন। চিংড়ির এই রান্নায় আর কী কী উপকরণ প্রয়োজন, কেমন করেই বা বানাবেন জানেন?



ভাপা চিংড়ির মনোহারী


উপকরণ


গলদা চিংড়ি (মাঝারি)/ বাগদা চিংড়ি (বড় আকারের): ৮ টি


কোড়ানো নারকেল: একটি গোটা মালা


সরষের তেল


সরষে বাটা: চার চামচ


কাঁচা হলুদ বাটা: ১ চা চামচ


পোস্ত: ১ চামচ


লঙ্কাবাটা: স্বাদ অনুযায়ী


নুন: স্বাদ অনুযায়ী


গোল মরিচ: ১ চামচ



প্রণালী: হেডলেস করে নিন চিংড়ি (বাগদা চিংড়ি কিনলে চিংড়ির মাথাগুলো না ফেলে একটু নুন,গোল মরিচ ও লঙ্কা মিশিয়ে চালের গুঁড়োর মিশ্রণে দিয়ে মুচমুচে করে ভেজে নিতে পারেন। খাওয়ার সময় ডালের সঙ্গে ভাজা হিসেবে খান)। এ বার হেডলেস করা চিংড়ির পিঠের দিক দিতে কালো শিরা বাদ দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। এ বার মাছগুলোতে নুন-হলুদ মাখিয়ে অল্র তেলে সাঁতলে নিন। অনেকেই কাঁচা মাছে ভাপা করতে পছন্দ করেন। তাঁরা সাঁতলানোর অংশটুকু করবেন না।



এ বার একটি টিফিন কৌটোয় কোড়ানো নারকেল, নুন, পোস্ত, সরষে বাটা, লঙ্কাবাটা, গোলমরিচ, অল্প হলুদ বাটা মাছগুলোতে মাখিয়েকিছু ক্ষণ ম্যারিনেট করে রাখুন। এ বার একটা বড় গামলা বা কড়া জাতীয় পাত্রে অর্ধেকটা জল ফোটান। জল ফুটে এলে মিনিট পাঁচেক পরে ওই জলে রেখে দিন টিফিন কৌটো। এই অবস্থায় আঁচ কমিয়ে জল ফুটতে দিন আরও মিনিট দশেক। তার পর গ্যাস বন্ধ করে আরও মিনিট দুই-তিন ওই অবস্থাতেই রেখে দিন। এ বার গরম টিফি কৌটোর মুখ খুলে উপর থেকে কাঁচা সরষের তেল ছড়িয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

No comments: