Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

কৌশিকী অমাবস্যায় বন্ধ থাকছে তারাপীঠ

 


 কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে আজও বাংলা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তারাপীঠ মন্দিরে ছুটে আসেন পুণ্যলাভ ও মনস্কামনা পূরণের আশায় । এবছর কৌশিকী অমাবস্যা ৭ সেপ্টেম্বর, বাংলা মতে ২১ ভাদ্র।  কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে ভিড় হতে পারে অন্যান্যবারের মতো এবারেও। জেলা প্রশাসন ও মন্দির কর্তৃপক্ষ করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই অমাবস্যার চারদিন আগে থেকে  তারাপীঠ মন্দিরের দরজা পুণ্যার্থীদের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে  ৩ তারিখ থেকে অমাবস্যার পরদিন, ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।




কথিত আছে যে মহিষাসুরের বধের পর স্বর্গের দেবতারা শুম্ভ-নিশুম্ভের তাড়নায় অধৈর্য হয়ে মহামায়ার তপস্যা শুরু করেন।  সেই তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবী তার কক্ষ থেকে একটি উজ্জ্বল আলো বের করেন এবং এক সুন্দর দেবীমূর্তিতে আবির্ভূত হন। নিজের শরীরের কোষ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তিনি কৌশিকী।  কৌশিকী দেবী আবার তারা এবং কালীতে পরিণত হলেন।  এটাও শোনা গেছে যে, কৌশিকী অমাবস্যার দিন তারাপীঠ মহা শ্মশানের সাদা শীমূল গাছের নিচে বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধি লাভ করেছিলেন। তাই সেদিন মা তারার পূজা করলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে ব্যক্তি পুণ্য লাভ করেন।  বাংলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ কৌশিকী অমাবস্যার দিনে তারাপীঠ মন্দিরে যান সৌভাগ্য লাভ এবং তাদের ইচ্ছা পূরণের আশায়। 



এপ্রসঙ্গে মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কৌশিকী অমাবস্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়। ফলে এই অতিমারির সময়ে কৌশিকী অমাবস্যায় মন্দির খোলা থাকলে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান,  রীতি মেনে নিত্যপুজো এবং অমাবস্যার পুজো হবে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ হলেও। পুণ্যার্থীরা চাইলে তাঁদের নামেও পুজো দিতে পারবেন। তবে হবে না মায়ের দর্শন ।



 বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়, সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায়, ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল গিরিও এদিন রামপুরহাট মহকুমা শাসকের সভাকক্ষে বৈঠকে। বৈঠক শেষে স্থানীয় প্রশাসন ও মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রতি জেলাশাসকের নির্দেশ, ‘কৌশিকী অমাবস্যায় মন্দির বন্ধের বিষয়টি বেশি করে প্রচার করুন। যাতে মানুষকে হয়রানি হতে না হয়।’

No comments: