চিতার মুখ থেকে মেয়েকে বাঁচাল মা
মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যা শুনলে গায়ের লোম খাড়া হয়ে যাবে। পাঁচ বছরের মেয়েকে বাঁচাতে এক মা ভয়ঙ্কর চিতাবাঘের সাথে লড়াই করে। এই সাহসী মা চিতাবাঘের কবল ছেকে মেয়েকে বাঁচাতে লাঠি নিয়ে লড়াইয়ে নামে। মায়ের ভালবাসার ও সাহসের সামনে ভয়ঙ্কর চিতাবাঘও হাল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
মা অর্চনা মেশরাম ও তার পাঁচ বছরের মেয়ে প্রজক্তাকে সাথে নিয়ে চন্দ্রপুর শহর সংলগ্ন জুনোনা গ্রামের কাছে একটি ড্রেনের কাছে বুনো সবজি তুলতে গিয়েছিলেন। শাকসবজি তোলার সময়, মেয়ে প্রজক্তা তার মায়ের কাছ থেকে দূরে দাঁড়িয়ে ছিল,হঠাৎ বাচ্চাটিকে চিতাবাঘটি আক্রমণ করে।
চিতাবাঘ মেয়েটির মাথায় কামড়ানোর চেষ্টা কপতে গেলে মা দেখে ফেলে এবং কিছুক্ষণের জন্য হতবাক হয়ে যায়। ততক্ষনাত নিজেকে সামলে নিয়ে কোন কিছু না ভেবেই কাছেই পড়ে থাকা একটি লাঠি তুলে চিতাবাঘের উপর আক্রমণ করতে শুরু করে। এসময় চিতাবাঘ মেয়েটিকে ছেড়ে দিয়ে মহিলাকে আক্রমণ করে।
কোনওভাবে মহিলা চিতাবাঘের আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছিল, কিন্তু চিতাবাঘটি আবারও মহিলার নজর এড়িয়ে বাচ্চাটিকে তার চোয়ালের মধ্যে আটকে রেখে টেনে নিয়ে যায়। এই দৃশ্যটি দেখে মহিলাটি চিতাবাঘের পিছনে দৌড়ায় এবং লাঠি দিয়ে অবিরাম মারতে থাকে।
মহিলার এই সাহসিকতার সামনে চিতাবাঘটি হাল ছেড়ে দেয় এবং মেয়েটিকে সেখানে রেখে বনের দিকে পালিয়ে যায়। চিতাবাঘের আক্রমণে মেয়েটি গুরুতর আহত হয়েছে। মেয়েটির মুখ ও মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে।
মহিলা সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিত্সার পরে আহত মেয়েকে নাগপুর সরকারী হাসপাতালে পাঠান হয়, সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
আহত মেয়ের বাবা সন্দীপ মেশরাম জানান, স্ত্রী অর্চনা বড় সাহস দেখিয়ে মেয়েকে বাঁচিয়েছে। মেয়ের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন আহত মেয়ের অবস্থা আশঙ্কার বাইরে।
সন্দীপ মেশরাম জানান, প্রায়শই ছাগল শিকারের জন্য চিতাবাঘ এখানে আসে। এবারও চিতাবাঘ ছাগল শিকারের জন্য এখানে এসেছিল, কিন্তু পাঁচ বছরের শিশুটিকে দেখে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
No comments: