Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

জেনে নিন কনুইয়ের কালো দাগ দূর করার উপায়

 




নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নেন অথচ কনুইয়ের দিকে চোখ পড়লেই মনটা খারাপ হয়ে যায়? আপনি একা নন, অনেক মেয়েই ইচ্ছে করলেও স্লিভলেস পোশাক পরতে পারেন না। তার কারণ কনুইয়ের বিশ্রী কালো ছোপ আর অতিরিক্ত শুকনোভাব। যেহেতু কনুই অঞ্চলের ত্বক শরীরের অন্য অংশের ত্বকের চেয়ে বেশি পুরু, তাই পাতলা ময়শ্চারাইজার এই অংশে তেমন কাজ করে না। ফলে খুব তাড়াতাড়ি কনুই শুকনো হয়ে যায় আর এই অংশে মেলানিন বেশি তৈরি হয় বলে কালচেভাবও বেশি থাকে। তাই কনুইয়ের কালচে আর শুকনোভাব কমিয়ে স্বাভাবিক করতে চাইলে আপনাকে বিশেষ যত্ন নিতেই হবে। 


দামি ময়শ্চারাইজারের দরকার নেই! বরং চোখ ফেরানো যাক আপনার রান্নাঘরের দিকে। সেখানেই রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা খুব সহজেই আপনার কনুইয়ের কালো ছোপ কমিয়ে ত্বকের রং ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করে তুলতে পারে, আর কোমলও রাখতে পারে! দরকার শুধু একটু নিয়মিত পরিচর্যা আর ধৈর্য! নিটোল কোমল হাতের জন্য এটুকু তো দেওয়াই যায়, তাই না? তা হলে দেখে নিন, কীভাবে কালো ছোপ আর কর্কশ শুকনোভাব কমিয়ে কোমল করে তুলবেন কনুইয়ের অংশ!


লেবুর রস

পাতিলেবুর রসে ব্লিচিং এফেক্ট রয়েছে, সে তো অনেকেই জানেন! এবার কনুইয়ের বিশ্রী কালো ছোপ তুলতেও ভরসা রাখুন পাতিলেবুর উপরে। একটা বড়ো আকারের পাতিলেবু আধখানা করে কেটে নিন। রসটা ভালোভাবে নিংড়ে অন্য পাত্রে রেখে দিন যাতে লেবুর টুকরোটা এক একটা ছোট কাপের মতো দেখতে লাগে। এবার এক একটা টুকরো নিয়ে কনুইয়ে খুব ভালো করে ঘষুন। ইচ্ছে করলে সামান্য চিনিও মাখিয়ে নিতে পারেন, তাতে কনুইয়ের অংশটা এক্সফোলিয়েট করাও হয়ে যাবে। হয়ে গেলে লেবুর শাঁস যেটুকু কনুইয়ে লেগে থাকবে সেটা ঝেড়ে ফেলে দিন, তারপর আধঘণ্টা অপেক্ষা করুন। আধঘণ্টা পরে হালকা গরম জলে ধুয়ে ঘন ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। প্রতিদিন নিয়ম করে করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কনুইয়ের কালোভাব ফিকে হতে শুরু করবে। 


দুধ আর বেকিং সোডা

দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের পিগমেন্টেশন কমায় আর বেকিং সোডা জমে থাকা মৃত কোষ তুলে ফেলতে সাহায্য করে। পরিমাণমতো বেকিং সোডার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে একটা থকথকে পেস্টের মতো করুন। এই পেস্ট দুই কনুইয়ে মেখে মিনিট তিনেক চক্রাকারে মাসাজ করুন। ধীরে ধীরে কালচেভাব কমে আসবে, দুধের ফ্যাট কনুইয়ের শুকনোভাবও কমাবে। 


শসার রস

হাতের কাছে খুব বেশি উপাদান নেই? কয়েক টুকরো শসা হলেও চলে যাবে। একটা শসা থেকে একটু মোটা করে দুটো টুকরো কেটে নিন আর তা কনুইয়ে মিনিট দশেক ঘষতে থাকুন। তারপর পাঁচ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। শসার রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়েও লাগাতে পারেন, সে ক্ষেত্রে দুটো রসই সমপরিমাণে নিতে হবে। প্রতিদিন এই মিশ্রণটা মেখে দেখুন, তফাত খুব শিগগিরই চোখে পড়বে।


দুধের সর আর হলুদ

আপনার গায়ের রং যদি শ্যামবর্ণ হয়, তা হলে কনুই অঞ্চলের রং স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা গাঢ় হওয়ার কথা। তেমন হলে দুধের সর আর হলুদ ব্যবহার করে দেখতে পারেন। লেবুর মতো হলুদও একটি ব্লিচিং এজেন্ট এবং এটি ত্বকের মেলানিন কমিয়ে দিতে সক্ষম। বেশ খানিকটা দুধের সর নিন, তার মধ্যে আধ চামচ হলুদ দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। কাঁচা হলুদ বেটে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো, না হলে প্যাকেটবন্দি ভালো মানের গুঁড়ো হলুদও নিতে পারেন। অন্যদিকে সরের বদলে দইও নেওয়া যায়। এই পেস্টটি পুরো কনুই অংশে বৃত্তাকারে ঘষে ঘষে মেখে নিন, তারপর ১৫ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 


চিনি আর অলিভ অয়েল 

অলিভ অয়েল না থাকলে নারকেল তেলও নিতে পারেন। সমপরিমাণ চিনি আর অলিভ অয়েল (বা নারকেল তেল) মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিন। কনুইয়ে লাগিয়ে মিনিট পাঁচেক বৃত্তাকারে মাসাজ করুন। তারপর আরও পাঁচ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে নিয়ম করে দু'দিন করলে উপকার পাবেন। 


মনে রাখবেন

শুধু প্যাক মাখাই যথেষ্ট নয়, কনুইয়ের কালচেভাব কাটিয়ে ত্বকের রং স্বাভাবিক করতে মাথায় রাখতে হবে আরও কয়েকটি জরুরি পয়েন্ট। 


ময়শ্চারাইজার মাখুন

কনুইয়ের অংশ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলেও কালো দেখায়। তাই প্রতিবার প্যাক ধুয়ে ফেলার পর এবং স্নানের পর খুব ভালো করে ময়শ্চারাইজার মেখে নিতে ভুলবেন না! রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও কনুইয়ে ঘন ক্রিম মেখে নেবেন। পেট্রোলিয়াম জেলি, নারকেল তেল, কোকো বা শিয়া বাটার ময়শ্চারাইজার হিসেবে খুবই ভালো।


সানস্ক্রিন বাদ নয়

গরমে স্লিভলেস বা হাফ স্লিভ পোশাক পরতে যাঁরা স্বচ্ছন্দ, তাঁরা অবশ্যই পুরো হাতে আর কনুইয়ে ভালো করে সানস্ক্রিন মেখে থাকবেন। এমনকী বাড়ির ভিতরে থাকলেও সানস্ক্রিন মাখতেই হবে!

No comments: