মিলখা সিং এর যে স্বপ্নটি অপূর্ণই রয়ে গেল
ভারতের দুর্দান্ত স্প্রিন্টার মিলখা সিং করোনার কাছে পরাজিত হন। শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান। তবে তার একটি স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায়। মিলখা সিং ৬০ বছর আগে অলিম্পিক পদক জয়ের থেকে মাত্র কয়েক ইঞ্চি দূরে ছিলেন। অলিম্পিকে কোনও ভারতীয় অ্যাথলেটিকসে পদক জিততে দেখা তাঁর স্বপ্ন ছিল। মিলখা সিংহের 400 মিটার রেকর্ডটি 38 বছর ধরে ছিল এবং 400 মিলিয়ন এশিয়ান রেকর্ডটি 26 বছর ধরে ছিল। সিংহের পরে তিন মেয়ে ডঃ মোনা সিং, আলিজা গ্রোভার, সোনিয়া সানওয়ালকা এবং ছেলে জীব মিলখা সিং রয়েছেন। ১৪ বারের আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ন গলফার জীব তাঁর বাবার মতো পদ্মশ্রী পুরষ্কার প্রাপক।
তাকে অলিম্পিকের পদক জিততে চেয়েছিল
তরুণ অ্যাথলিটদের সম্বোধন করতে গিয়ে মিলখা একবার বলেছিলেন, “তাঁর মৃত্যুর আগে মিলখা সিংয়ের একটি স্বপ্ন ছিল - ভারতের উচিত অলিম্পিকে পদক পাওয়া। আমার মৃত্যুর আগে আমি কোনও ভারতীয় ক্রীড়াবিদকে অলিম্পিকে পদক জিততে দেখতে চাই। অলিম্পিকে অ্যাথলেটিক্সে ভারতের আর একটিও অলিম্পিক পদক নেই। ১৯৬০ এর রোম অলিম্পিক গেমসে ৪৫.৬সেকেন্ড সময় নিয়ে চতুর্থ স্থান অর্জন করলে মিলখা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ততক্ষণে, এটি কোনও ভারতীয় অ্যাথলিট কোনও ব্যক্তিগত অলিম্পিক পদক জিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নিকটে ছিল।
সপ্তাহে এক-দুবার স্টেডিয়াম ঘুরে দেখতেন
১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক গেমসে পিটি উশা ৪০০ মিটার দৌড়ে একটি ব্রোঞ্জ পদক হারিয়ে ফেলেন। তিনি 55.42 সেকেন্ডের মধ্যে দাঁড়িয়েছিলেন এবং মাত্র 0.01 সেকেন্ডের ব্যবধানে ব্রোঞ্জের পদক থেকে সরে গেছিলেন। নম্বর সেক্টরের স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মধ্যে চন্ডীগড়ের সাত-লেনের সিন্ডার ট্র্যাকটি এখনও উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং অভিজ্ঞ অ্যাথলিটদের আবাসস্থল। অ্যাথলেটিক্স কোচ শিব কুমার যোশী চণ্ডীগড় থেকে আইএএনএসকে জানিয়েছেন যে মিলখা সিংহ সপ্তাহে এক-দুবার স্টেডিয়াম ঘুরে দেখতেন এবং প্রায়শই কোচদের সাথে প্রশিক্ষণের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতেন। তাঁর বাড়িটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কাছাকাছি ছিল। তিনি 1978 থেকে 1999 পর্যন্ত চন্ডীগড় অ্যাথলেটিক্স অ্যাসোসিয়েশনের (সিএএ) সভাপতি থাকাকালীন আমরাও তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।
তরুণ ক্রীড়াবিদদের উৎসাহে ভরে দিতেন
মিলখা নিয়মিত যুবসমাজকে শক্তি যোগাত। তিনি ক্রীড়াবিদদের বলেছিলেন, 'আমি রোম অলিম্পিকের জন্য খুব কঠোর প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমি প্রায়শই কঠোর প্রশিক্ষণের পরে রক্ত বমি করতাম। আমি পদক জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। তবে আমার দিনটি হয়নি। আমি আমার জীবনে যা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিলাম, আপনাদের ভারতকে গর্বিত করার চেষ্টা করা উচিত।
No comments: