খাওয়ারে হলুদ রাখার উপকারিতা জানুন
হলুদের উপকারিতা
হলুদের অনেক গুণ আছে৷ এতে প্রচুর ফাইবার থাকে, থাকে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি সিক্স এবং কারকিউমিন নামের একটি যৌগ৷ এগুলি আমাদের নানা ধরনের অসুখ-বিসুখের হাত থেকে বাঁচায়৷ খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার চল আমাদের দেশে অনেক কাল ধরেই প্রচলিত আছে৷ বলা হয়, এর ফলে হজমশক্তি বাড়ে, খাবারের পরিপাক সহজ হয়ে ওঠে৷
কারকিউমিনের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণ বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচায় খাদ্যনালীকে৷ কোথাও চোট-আঘাত লাগলে চুন-হলুদের পরত লাগানোর পুরোনো প্রথা এ দেশে আজও প্রচলিত৷ বিয়ের সময় দু’জন মানুষ পরস্পরের কাছাকাছি আসেন, তার আগে গায়ে হলুদ দেওয়ার প্রথাটি বহু প্রাচীন৷ মনে করা হয় যে শরীরকে সর্বাংশে সুস্থ করে তোলার জন্যই এই নিয়ম মানা হয় আজও৷ জ্বরজারি হলে বা ঠান্ডা লাগলে দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়াও বহুকাল ধরেই চলে আসছে৷
যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে কাঁচা হলুদ খুব কার্যকর ভূমিকা নেয়৷ তা অগ্ন্যাশয়কে বেশিদিন সুস্থও রাখে৷ কারকিউমিনের কারণেই সর্দি-কাশি হলে কাঁচা হলুদ আর মধু মিশ্রিত দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ তা ইনফেকশন ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে৷ নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা৷
এই সমস্ত গুণের কথা জেনেই ক্রমশ পশ্চিমে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গোল্ডেন লাতে বা টারমারিক লাতে৷ ক্যাফেইনমুক্ত, উষ্ণ এই পানীয় আর কিছুই না, আমাদের চিরচেনা হলুদ-দুধ! মিষ্টত্ব বাড়ানোর জন্য মধু দেওয়া হয় সাধারণত, সুগন্ধের জন্য সামান্য দারচিনি গুঁড়োও ব্যবহার করা হয় কখনও কখনও৷ যাঁদের ল্যাকটোজ় সহ্য হয় না, তাঁদের জন্য সাধারণ দুধের বদলে সোয়া দুধ, আমন্ড দুধ, কাজু দুধ বা নারকেলের দুধ দিয়েও তৈরি করে নেওয়া যায় এই পুষ্টিকর পানীয়৷
No comments: