Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

কি করলে আপনিও আপনার হাড় সুস্থ রাখতে পারবেন



আপনার জয়েন্টে, হাতে-পায়ে বা কোমরে কোনও ক্রনিক ব্যথা আছে? নখ ভেঙে যায় অল্প ধাক্কা লাগলেই? দাঁতের সামগ্রিক স্বাস্থ্যও ইদানীং আর আগের মতো মজবুত নেই? তা হলে সম্ভবত শরীর জানান দিচ্ছে যে আপনার হাড়ে ক্ষয় শুরু হয়ে গিয়েছে৷ আর বেশি দেরি না করে এখনই ডাক্তারের শরণ নিন, তাঁর পরামর্শমতো চললে রোগ সেরেও যাবে চটপট৷ প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার মাধ্যমে অন্তত ৭০০ মিলি গ্রাম ক্যালশিয়াম শরীরে যাওয়া দরকার৷ দুধ, চিজ়, পনির, ডিম, বাঁধাকপি, ঢ্যাঁড়শ, ব্রকোলি, বাদাম ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারলে খুব ভালো হয়৷ ভিটামিন ডি-র জন্য আপনার কোনও বিশেষ সাপ্লিমেন্টের দরকার আছে কিনা, সেটা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে জেনে নেবেন৷ যেদিন ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাবেন, সেদিন খাদ্যতালিকায় ঘি জাতীয় কোনও স্নেহপদার্থ অবশ্যই রাখবেন৷ ভিটামিন ডি ফ্যাট সলিউবল, সেদ্ধ বা স্যুপের সঙ্গে তা খেলে শরীরে আত্তীকরণ হবে না৷ কয়েকটি সাধারণ প্রশ্ন নিয়ে আমরা মুখোমুখি হয়েছিলাম ডা. রণেন রায়ের, জেনে নিন তাঁর পরামর্শগুলি কী কী৷ 


মহিলাদের হাড়ের স্বাস্থ্য খারাপ হতে আরম্ভ করে ৪০ পেরনোর পর থেকেই। ঠিক কী করলে হাড় সুস্থ থাকবে?

মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষেরই হাড়ের গঠন শুরু হয় গর্ভাবস্থা থেকে। সেই সময়ে মা কী খাবার খেয়েছেন, তা কতটা পুষ্টিকর ছিল, কতটা ক্যালশিয়াম ও ভিটামিনের আত্তীকরণ হয়েছে শরীরে, তিনি নিয়মিত ব্যায়াম করেছেন কিনা ইত্যাদি নানা বিষয়ের উপর নির্ভর করে সন্তানের হাড়ের গঠন কেমন হবে। গর্ভাবস্থায় মা সুস্থ থাকলে বাচ্চার স্কেলিটনের গঠনও ভালো হয়, পরবর্তীকালে শিশুটি মজবুত হাড়ের মালিক হয়। ভালো হাড়ের গ্রোথ আপনার ৩০-৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত হবে। তাই একেবারে প্রাথমিক পর্যায় থেকে আরম্ভ করে সেই বয়স পর্যন্ত আপনি নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল কীভাবে রাখছেন, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই স্বাস্থ্যসচেতন হওয়া উচিত। মেয়েদের আরও বেশি যত্নশীল হতেই হবে, খেয়াল রাখতে হবে যেন হাড়ের স্বাস্থ্য উপচে পড়ে। খেয়াল রাখবেন, ৩০-৩৫ -এর পর থেকে কিন্তু হাড়ের ক্ষয় শুরু হবে। মেনোপজ়ের পর তার মাত্রাটা বাড়বে। তাই আগে থেকেই অনুসরণ করুন ডায়েট চার্ট, নিয়ম করে ব্যায়াম করুন। হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে ক্ষয় শুরু হতেও সময় লাগবে। যেমন ব্যাঙ্কে একটা সময় আমরা টাকা জমিয়ে রাখি অবসরজীবনে খরচ করার জন্য, ঠিক সেভাবেই হাড়ের স্বাস্থ্যও ছোট থেকে ভালো রাখতে হবে যাতে বুড়ো বয়সে গিয়ে কোনও অসুবিধে না হয়।


কোন কোন খাবার খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে?

সুষম, পুষ্টিকর খাবার খাওয়াটা জরুরি। রোজের খাদ্যতালিকায় প্রচুর ফল, শাকসবজির পাশাপাশি যেন মিনারেল আর ক্যালশিয়াম থাকে, সেটা দেখতে হবে। এড়িয়ে চলুন ধূমপান, নরম পানীয়ের প্রতি আসক্তি থাকলেও হাড়ের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণভাবে যাঁরা মোটামুটি নিয়ম মেনে চলেন, খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আছে, ব্যায়াম করেন, তাঁদের হাড়ের স্বাস্থ্যও বেশিদিন ভালো থাকে।


হাড়ের সমস্যার কি কোনও পাকাপাকি সমাধান হয়? নাকি একবার শুরু হলে তা আর কখনও সারে না?

আমাদের শরীর কখন সবচেয়ে ভালো থাকে বলুন তো? যখন তা নিয়মিত যত্নআত্তি পায়। হাড়ের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। সারাক্ষণ যত্নে রাখলে তবেই আপনার হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। ভুললে চলবে না যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের স্বাস্থ্য ক্রমশ খারাপ হয়, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সচেতন হয়ে উঠুন ও নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। সারা জীবন কি আমরা একইভাবে চিন্তাভাবনা করি? না একটাই কাজ আঁকড়ে বসে থাকি? সেই ভাবেই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন আসবে আপনার যত্ন নেওয়ার পদ্ধতিতেও। ৪০ পেরনোর পর যতটা সম্ভব নিয়ম মেনে চলুন, খাওয়াদাওয়া, জীবনযাপন পদ্ধতি যতটা সাদাসিধে হয়, ততটাই ভালো। পারলে সমস্তরকম শারীরিক ও মানসিক স্ট্রেস থেকে দূরে থাকুন। তাতে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছে হাড়ে, সেটা আগে পরীক্ষা করে দেখা দরকার। তার পর ডাক্তারের পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে। তাতে রাতারাতি তাক লাগানো পরিবর্তন না এলেও অন্তত ক্ষতিটা আটকাতে পারবেন।

No comments: