Politics

[Politics][bleft]

West Bengal

[West Bengal][grids]

World

[World][bsummary]

National

[National][twocolumns]

আপনি অজান্তেই প্রচুর পরিমানে চিনি খাচ্ছেন না তো

 



অনেক কিছুই করলেন, কিন্তু ওজন কিছুতেই কমছে না? নামছে না ব্লাড সুগার? একবার আপনার খাদ্যতালিকাটা খতিয়ে দেখুন, সেখানে গলদটা হয়ে নেই তো? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সারা পৃথিবী জুড়ে ক্রমশ বাড়তে থাকা ওবেসিটির সমাধানসূত্র খুঁজছে এবং সেই সূত্রে কতগুলো ধারণা সামনে এসেছে৷ আধুনিকতা আর বিশ্বায়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খাদ্যতালিকায় আমরা এমন অনেক খাবার ঢুকিয়ে নিয়েছি যেগুলোর মধ্যে চিনি থাকলেও স্বাদ মিষ্টি নয়৷ যেমন ধরুন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা ব্যাটারে ডুবিয়ে ভেজে নেওয়া মাছ বা চিকেন৷ শিঙাড়া, নিমকিকেও এই গোত্রে ফেলতে হবে৷ এগুলো মূলত সিম্পল কার্বোহাইড্রেট, খাওয়ার পরে খুব দ্রুত গ্লুকোজ়ে ভেঙে যায়৷ তালিকাটা কিন্তু এখানে শেষ নয়, সবে শুরু৷


বাচ্চাদের জন্য স্পেশাল ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল কিনবেন না: কারণ রঙিন, নানা রকম আকারের কুড়মুড়ে ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালে প্রচুর চিনি থাকে৷ মিষ্টি খেতে খেতে খাওয়াটা ক্রমশ অভ্যেস হয়ে যায়, কোনও কারণে মন খারাপ হলেও তখন দেখবেন মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে৷ তাই দুধের সঙ্গে মুড়ি, চিড়ে বা ফ্লেভারহীন সাদা কর্নফ্লেক্স খাওয়ানোর অভেস করুন৷ কোনও বিজ্ঞাপনের ফাঁদেই পা দেবেন না৷


স্পোর্টস/ এনার্জি ড্রিঙ্কের ফাঁদে পা দেওয়ার দরকার নেই: স্পোর্টস ড্রিঙ্কে প্রচুর চিনি থাকে৷ এগুলি যাঁরা ম্যারাথনে দৌড়োন, ক্রিকেট, ফুটবল বা টেনিস খেলেন, সাইক্লিং করেন বা একেবারে প্রথম সারির সাঁতারু, তাঁদের এনার্জির ঘাটতি মেটানোর জন্য তৈরি৷ যাঁরা দিনে আট-দশ ঘণ্টা সিটে বসে কাজ করেন এবং খাওয়াদাওয়ার নির্দিষ্ট রুটিন নেই, তাঁদের জিমে গিয়ে স্পোর্টস ড্রিঙ্কের বোতলে চুমুক দেওয়ারও দরকার নেই৷ তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে৷ বাড়তি চিনিটা শরীর জমিয়ে রাখবে মেদ হিসেবে৷


লো ফ্যাট দই: দই আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারি, আমরা সবাই জানি৷ কিন্তু লো ফ্যাট দই বা দুধের চক্করে পা না দেওয়াই ভালো৷ কারণ মাঠা-তোলা দুধ বা দই খেতে এতটাই খারাপ হয় যে প্রসেসিংয়ের সময়েই চিনি মিশিয়ে তার স্বাদ বাড়ানো হয়৷ তার চেয়ে পুরো ফ্যাটযুক্ত দই/ দুধ খান৷ তবে কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে নেবেন যেন জিনিসটায় ভেজাল না থাকে৷


সুগারফ্রি আইসক্রিম/ কেক/ বিস্কিট: সোনার পাথরবাটি হয়? হয় না! সুগারফ্রি আইসক্রিম বা কেকও হয় না৷ লেবেলটা খতিয়ে দেখুন৷ অধিকাংশ সুগারফ্রি খাবারে উপাদান হিসেবে সরবিটল বা ম্যানিটল, ময়দা, দুধ ইত্যাদি থাকে৷ প্রথম দু’টি হচ্ছে সুগার অ্যালকোহল৷ আমাদের শরীরে এর আত্তীকরণ হয় না, কিন্তু এগুলি আমাদের মেটাবলিজ়মের হার কমিয়ে দেয়, ফলে ওজন বাড়তে পারে৷ ময়দা ছাড়া কেক, বিস্কিট তৈরিই হয় না, আর ময়দা হচ্ছে একেবারে সরল কার্বোহাইড্রেট, ঝটপট গ্লুকোজ়ে ভেঙে যায় তা৷ পাউরুটিও কিন্তু ময়দায় তৈরি, আর পাউরুটির অন্যতম প্রধান উপাদান ইস্ট অ্যাক্টিভেট করে তোলার জন্য চিনি প্রয়োজন৷ তুলনায় ভালো অপশন হচ্ছে মাল্টিগ্রেন ব্রেড৷ কথায় কথায় পেস্ট্রি/ কেকে কামড় বসানোর অভ্যেস থাকলেও সচেতন হোন৷ অত ক্রিম, ফ্রস্টিং, আইসিং কারও জন্যই ভালো হতে পারে না৷


আইসড/ ফ্লেভারড চা ও কোল্ড কফি: চা আর কফি পানীয় হিসেবে কিন্তু নেহাত মন্দ নয়৷ বিশেষ করে গ্রিন টি যেহেতু কম প্রসেসিংয়ের মধ্যে দিয়ে যায়, তাই তার মধ্যে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডান্ট থাকে, সেটা শরীরের জন্য ভালো৷ কিন্তু গ্রিন টি খেতে যে ভারী সুস্বাদু হয়, এমন দাবি কেউ করতে পারবেন না৷ তাই স্বাদ বাড়ানোর জন্য তার মধ্যে নানা ফ্লেভার মেশানো হয়, যোগ করা হয় মিষ্টত্ব৷ কৃত্রিম মিষ্টিও কিন্তু আসলে ক্ষতিই করে৷ আর কফিতে ক্রিম, আইসক্রিম, চিনি মিশলে তার সমস্ত গুণ নষ্ট হয়ে যায়৷


ইন্সট্যান্ট স্যুপ: জানেন কি, প্যাকেটবন্দি স্যুপের এক চামচে প্রায় 5 গ্রামের কাছাকাছি চিনি থাকে? স্যুপে ঘনত্ব আনতে ব্যবহার করা হয় সিম্পল কার্বোহাইড্রেট কর্নফ্লাওয়ার? তার চেয়ে নিজের ইচ্ছেমতো আনাজপাতি আর চিকেন দিয়ে স্যুপ বানিয়ে নেওয়া সহজ না? ইচ্ছে হলে না হয় একটু ন্যুডলস বা ম্যাকারনি যোগ করে দেবেন শেষে!


বোতলবন্দি সস/ স্যালাড ড্রেসিং: স্যালাড ড্রেসিং আর সসে চিনি ছাড়াও থাকে কৃত্রিম রং, প্রেজ়ারভেটিভ আর টেস্ট এনহান্সার৷ তাই যতটা কম খাওয়া যায়, ততই মঙ্গল৷

No comments: