অতিরিক্ত চিন্তা করেছেন তার থেকে মুক্তির পাঁচটি সহজ রাস্তা
চিন্তা কম-বেশি আমাদের সকলেরই নিত্যদিনের সঙ্গী, তা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলেই রোজের জীবনে নানা সমস্যা হয়। আমরা বেশি ঝগড়া করি, ঘুম হয় না, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি, ফলে ওজন বাড়ে, হরমোনের নানা সমস্যা হয়। রিসার্চ বলছে, মাইগ্রেনের মতো কঠিন সমস্যারও অন্যতম কারণ হচ্ছে স্ট্রেস। এর হাত থেকে পালানোর উপায় নেই! তাই যেভাবেই হোক, চিন্তার সঙ্গে লড়াইটা বজায় রাখতেই হবে এবং তা কমানোর একটা না একটা রাস্তাও খুঁজে বের করতে হবে। খুব সহজ পাঁচটি পথের হদিশ দিচ্ছি আমরা, ট্রাই করে দেখুন তো, এতে আপনার কোনও কাজ হয় কিনা!
কোন কারণে চিন্তা হচ্ছে, সেটা খুঁজে বের করুন: হতেই পারে যে আপনার অফিসে বসের সঙ্গে মতের অমিল হচ্ছে বা চাকরিটা করতে একেবারেই ভালো লাগছে না অথবা হয়তো প্রেমিকের সঙ্গে ব্রেকআপের ধাক্কাটা এখনও সামলে উঠতে পারেননি… সত্যিটাকে স্বীকার করে নিন। চিন্তার কারণটাকে এড়িয়ে যাবেন না, বরং তা দূর করার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। নিজের মধ্যেই আটকে রাখবেন না অনুভূতিগুলোকে, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আলোচনা করুন, কথা বলুন। কে বলতে পারে যে তা থেকেই সমাধান বেরিয়ে আসবে না?
শারীরিক কাজকর্মের মাত্রা বাড়ান: আপনাকে যে ব্যায়াম করতেই হবে, তার কোনও মানে নেই, ইচ্ছে হলে যোগ দিন নাচের ক্লাসে, সময় কাটাতে পারেন বাচ্চাদের সঙ্গে। কারও কারও ক্ষেত্রে পশুপাখির সঙ্গে সময় কাটানোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে যোগ দিতে পারেন কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেও। মোদ্দা কথা, বাড়িতে বা বারে একা বসে থাকবেন না, মানুষের মধ্যে থাকুন। হাসুন, হাঁটাচলা করুন, দৌড়োদৌড়ি করতে পারলে তো কথাই নেই! মেডিটেশন করতে পারলেও খুব ভালো ফল পাওয়া যায় বলে মনে করেন অনেকেই।
ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করুন: ইচ্ছে করবে বেশি বেশি মিষ্টি, ভাজাভুজি খেতে, কারণ ফ্যাট আর চিনি আপনাকে মানসিকভাবে খুশি রাখে। কিন্তু ইচ্ছের উপর রাশ টানুন, অতিরিক্ত খাবেন না। ওজন বাড়লে কর্মক্ষমতা আরও কমবে, আত্মবিশ্বাস হারাবে, ক্রমশ আপনি গুটিয়ে যাবেন নিজের মধ্যে। সেটা হতে দেবেন না, তার আগেই জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিন নিজের হাতে। ডায়েটিশিয়ানের দরকার নেই, মা-মাসিরা যে ধরনের রান্নাবান্না করেন, সেগুলি খেলেই সুস্থ থাকবেন।
জীবনটাকে গুছিয়ে নিন: দরকারে পরামর্শ নিন মা-বাবার, খুব এলোমেলো জীবন কাটাবেন না। জীবনের একটা লক্ষ্য থাকা দরকার। সেই সঙ্গে দরকার ভবিষ্যতের প্ল্যানিং। ক্রেডিট কার্ডে পাগলের মতো কেনাকাটি করে ধারের মাত্রা বাড়াবেন না, খরচ করুন হিসেব করে। সঞ্চয় করার অভ্যেসটাও ভালো। টাকাপয়সার অনিশ্চয়তা না থাকলে মুডও ভালো থাকবে।
গান শুনুন: গান বা সুরও কিন্তু আপনার অস্থির জীবনে শান্তির প্রলেপ দিতে পারে। মন খারাপ লাগলেই সুরের সহায় হোন। হয়তো আপনার শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ভালো লাগল, অথবা পছন্দ হল রক্তে দোলা দেওয়া নাচের ছন্দ… সুরের মায়াজাল কখনওই নিরাশ করবে না। মন খারাপ লাগলে নানা ধরনের মিউজ়িক শুনুন, একদিন তা আপনাকে কাছে টেনে নেবেই!
No comments: